গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার স্ত্রীর দেহ, খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন স্বামী

নিউ টাউনের সাহা মার্কেট এলাকার একটি গেস্ট হাউস থেকে ২২ বছর বয়সী ইতিকা মণ্ডল নামে এক মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে পুলিশ নিহতের স্বামী বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, মঙ্গলবার ১০০ নম্বরে একটি ফোন আসে, যেখানে অভিযোগ করা হয় যে সাহা মার্কেট এলাকার একটি গেস্ট হাউসে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিউ টাউন ও ইকোপার্ক থানার পুলিশ। উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ইতিকা মণ্ডল এবং অভিযুক্ত স্বামী বিশ্বজিৎ মণ্ডল দুজনেই দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা। সোমবার তারা ইকোপার্কে ঘুরতে এসেছিলেন এবং সেদিনই ওই গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন। অভিযোগ উঠেছে যে, ইতিকা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত বলে বিশ্বজিতের সন্দেহ ছিল। এই সন্দেহের জেরে তাদের মধ্যে তীব্র বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে বচসার মধ্যেই বিশ্বজিৎ তাঁর স্ত্রী ইতিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ বিশ্বজিতের মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করা শুরু করে। এরপর নিউ টাউন এলাকা থেকে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিশ্বজিৎ তাঁর স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ ইতিমধ্যেই নিহতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং নিউ টাউন থানার পুলিশ অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে। এসিপি নিউ টাউন উৎসা শ্রীমানি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমাদেরকে ফোন করে জানানো হয়, স্বামী তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছে।”

গেস্ট হাউস ঘিরে অবৈধ কার্যকলাপের অভিযোগ:

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে নিউ টাউনের ওই গেস্ট হাউসে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ কাজকর্ম চলে আসছে। তাদের দাবি, স্কুল পড়ুয়ারাও নিয়মিত এখানে ভাড়া নিয়ে সময় কাটায়। স্থানীয়রা বারবার পুলিশকে বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও কোনো লাভ হয়নি বলে তাদের অভিযোগ। এই খুনের ঘটনা গেস্ট হাউসটির নিরাপত্তা এবং কার্যকলাপ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।