‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে ২৫ ঘণ্টা আলোচনা, সংসদে বাদল অধিবেশনের শুরুতেই উত্তাপ

চলতি বছরের সংসদীয় বাদল অধিবেশন সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এবং প্রথম দিনই ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের তীব্র স্লোগানে লোকসভার অন্দরে হট্টগোল ও অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়। তবে, এই সংবেদনশীল বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত কেন্দ্র, এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।
সংসদের বিজনেস অ্যাডভাইজরি মিটিংয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইস্যুতে আলোচনার জন্য পর্যাপ্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, লোকসভায় এই বিষয়ে বিতর্কের জন্য ১৬ ঘণ্টা এবং রাজ্যসভায় ৯ ঘণ্টা সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, সংসদের উভয় কক্ষ মিলিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইস্যুতে বিতর্কের জন্য মোট ২৫ ঘণ্টা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে, এই বিতর্ক চলতি সপ্তাহে নয়, সম্ভবত আগামী সপ্তাহে শুরু হতে পারে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
‘অপারেশন সিঁদুর’ ছাড়াও এবারের অধিবেশনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। মণিপুরের বাজেট প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য ২ ঘণ্টা সময় রাখা হয়েছে। আয়কর বিল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য ১২ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, ভারতের সাম্প্রতিক মহাকাশ গবেষণা এবং শুভাংশু শুক্লার সফল মহাকাশ মিশন নিয়েও সংসদে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের দাবি:
বিরোধী দলের সাংসদদের দাবি, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনার সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং যেন সংসদে উপস্থিত থাকেন। সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠকে বলেন, “প্রত্যেক দল এই মর্মে কেন্দ্রকে সমর্থন করেছিল। তাই আমরাও চাই আলোচনার সময়ে প্রধানমন্ত্রী যেন সংসদে উপস্থিত থাকেন।”
তবে, কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা গৌরব গগৈ এই বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠক নিয়ে কংগ্রেস সন্তুষ্ট নয়। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার বিষয়টিকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না। কোনও আশ্বাসই দেওয়া হয়নি কেন্দ্রের তরফে।”
বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইস্যু নিয়ে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তা আগামী দিনগুলিতে সংসদের উভয় কক্ষে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের উপস্থিতি দাবি করে বিরোধীরা এই বিতর্ককে আরও জোরালো করতে চাইছে।