“জগন্নাথ মন্দির করলে হিন্দু হওয়া যায় না”-দীঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়েই মমতাকে টার্গেট দিলীপের

তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপি-ও আজ খড়গপুরে শহীদ স্মরণের আয়োজন করেছিল। এই উপলক্ষে আয়োজিত জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর মূল অভিযোগ, “বাংলার নামে বাংলাদেশি ভোটারদের বাঁচাচ্ছেন মমতা।” দিলীপ ঘোষের দাবি, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার করছে এবং তাঁদের সুরক্ষা দিচ্ছে।

দিলীপ ঘোষ বলেন, “জয় বাংলা বললেই কেউ বাঙালি হয়ে যায় না। বাংলাদেশ থেকে ভোটার, অনুপ্রবেশকারী নিয়ে আসছেন মমতা। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে। আমাদের ২৫০ জন প্রাণ দিয়েছেন।” তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন বাংলা ভাষার প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান নিয়ে। দিলীপের কথায়, “বাংলা ভাষার জন্য মমতা কী করেছেন? বাংলা ভাষাকে বরং সম্মান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছেন।”

সম্প্রতি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ-কাণ্ড নিয়েও দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আরজি করের মেয়েটি বাঙালি ছিল না, কসবা আর জোকার ছাত্রীরাও বাঙালি ছিল না। বাঙালি বাঙালি করছেন, এদিকে নিজের বাড়িতে এনেছেন পাঞ্জাবি মেয়ে। এত দ্বিচারিতা চলবে কী করে?” তাঁর অভিযোগ, এই সমস্ত ঘটনা দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন।

শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশিদের ভোটার করে দিচ্ছেন। বাংলাদেশিদের আঁচলে লুকোতে পারবেন না, গলা ধাক্কা দিয়ে বের করব। বাংলাদেশিদের বাড়িতে বুলডোজার চলবে।”

তৃণমূলের সাম্প্রতিক কর্মসূচি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক ঘোষণাকেও কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “দিদিমণি আর ভাইপো পুরনো ক্যাসেট বাজাচ্ছেন, মানুষ তা বুঝে গেছে। আচমকা জগন্নাথ মন্দির করলে হিন্দু হওয়া যায় না। জগন্নাথদেবের হাত নেই। তাই মমতাকে আশীর্বাদ করতে পারেননি। যখন নারকেল ভাঙছিলেন, মনে হচ্ছিল পেটো ভাঙছেন।”

আজকের এই সমাবেশ থেকে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।