WhatsApp-বন্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া? জেনেনিন কেন নেওয়া হচ্ছে এই উদ্যোগ?

রাশিয়ায় হোয়াটসঅ্যাপের কার্যক্রম বন্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন দেশটির আইটি শিল্প সংশ্লিষ্ট একজন আইনপ্রণেতা। রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের আইটি কমিটির উপপ্রধান আন্তন গোরেলকিন মন্তব্য করেছেন যে, রাশিয়ায় হোয়াটসঅ্যাপের পরিষেবা সম্ভবত নিষিদ্ধ হতে চলেছে এবং অ্যাপটিকে সীমিত সফটওয়্যারের তালিকায় রাখার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপের মূল কোম্পানি ও মার্কিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্ট মেটা রাশিয়ায় একটি ‘চরমপন্থি সংগঠন’ হিসেবে ঘোষিত। ২০২২ সাল থেকেই দেশটিতে মেটার মালিকানাধীন ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রাম নিষিদ্ধ।

পুতিনের নির্দেশনা ও সেপ্টেম্বরের সময়সীমা:

চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, যেসব ‘বন্ধুত্বহীন দেশ’ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তাদের তৈরি সফটওয়্যার ও অ্যাপ রাশিয়ায় আরও কঠোরভাবে সীমিত করা হবে। এই নির্দেশ বাস্তবায়নের শেষ তারিখ ১ সেপ্টেম্বর। গোরেলকিনের মতে, হোয়াটসঅ্যাপ সম্ভবত সেই সব পরিষেবার একটি, যা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে।

দেশীয় অ্যাপ নির্ভরতা বাড়ানোর পরিকল্পনা:

রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই বিদেশি বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় সেবার ব্যবহার বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত জুনে প্রেসিডেন্ট পুতিন রাষ্ট্রসমর্থিত মেসেজিং অ্যাপ তৈরির একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন। এই নতুন অ্যাপটি রাশিয়ার বিভিন্ন সরকারি সেবার সঙ্গে যুক্ত থাকবে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে অনেক বিদেশি প্রযুক্তি কোম্পানি রাশিয়া থেকে নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে বা সীমিত করেছে। গোরেলকিন মনে করেন, হোয়াটসঅ্যাপকে রাশিয়ায় নিষিদ্ধ করা হলে রাষ্ট্রসমর্থিত এই নতুন অ্যাপের ব্যবহার বাড়তে পারে এবং এটি দেশের বাজারে আরও প্রভাব ফেলবে।

এই পদক্ষেপ রাশিয়ার ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব বাড়ানোর এবং বিদেশি প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভরতা কমানোর একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।