Air Cooler-এর বাতাস AC-র মতো ঠান্ডা হবে ৩ কৌশলে, শিখেনিন সহজ পদ্ধতি

গরমে এসি যেমন স্বস্তি দেয়, তেমনি যারা কম খরচে ঘর ঠান্ডা রাখতে চান, তাদের জন্য এয়ার কুলার একটি দারুণ বিকল্প। তবে বর্ষার ভ্যাপসা গরমে বা বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে এয়ার কুলার ঠিকঠাক কাজ করে না, বরং অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু কিছু কৌশল জানা থাকলে আপনি এয়ার কুলার থেকেই এসির মতো ঠান্ডা বাতাস পেতে পারেন এবং ঘরের আর্দ্রতাও কমাতে পারবেন।

চলুন জেনে নিই, এয়ার কুলারকে কীভাবে আরও কার্যকর করবেন:

১. বেকিং সোডার ম্যাজিক
কুলারের ঠান্ডা বাতাসেও যদি চিটচিটে বা আর্দ্রতার অনুভূতি হয়, তাহলে বেকিং সোডা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। একটি কাপড়ে কিছু বেকিং সোডা বেঁধে একটি ছোট পুঁটলি তৈরি করুন। এরপর এটি ঘরের যেকোনো জায়গায় ঝুলিয়ে রেখে কুলার চালান। বেকিং সোডা বাতাস থেকে বাড়তি আর্দ্রতা শুষে নেবে, ফলে চিটচিটে ভাব কমে যাবে এবং বাতাস আরও শুষ্ক ও আরামদায়ক মনে হবে।

২. ফ্যান ও ভেন্টিলেশনের সঠিক ব্যবহার
বর্ষার দিনে যখন বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে, তখন শুধু কুলার চালিয়ে রাখলে সমস্যার সমাধান হয় না। এই আর্দ্রতা কমাতে কুলারের সঙ্গে একটি ফ্যান চালিয়ে রাখুন। সম্ভব হলে একটি এক্সজস্ট ফ্যানও চালিয়ে দিন। এর পাশাপাশি, ঘরের জানালা খোলা রাখুন যাতে টাটকা বাতাস ঘরে ঢুকতে পারে এবং আর্দ্র বাতাস বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। এতে ঘরে বাতাসের সঠিক চলাচল বজায় থাকবে।

৩. কুলার সঠিক স্থানে রাখুন
এয়ার কুলার থেকে এসির মতো ঠান্ডা বাতাস পেতে হলে কুলারটি সঠিক স্থানে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কুলারটি জানালার কাছে রাখুন। এতে বাইরের তাজা বাতাস কুলারের মাধ্যমে ঘরে প্রবেশ করবে এবং কুলারের ঠান্ডা বাতাস আরও কার্যকর হবে। এছাড়াও, আর্দ্রতা দূর করতে প্রথমে কুলারটি ফুল স্পিডে চালান। যদি বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ খুব বেশি মনে হয়, তবে কিছুক্ষণের জন্য কুলারে পানি ছাড়াই চালানো যেতে পারে। এতে ফ্যান হিসেবে কাজ করবে এবং বাতাস কিছুটা শুষ্ক করবে।

এই সহজ কৌশলগুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার এয়ার কুলারকে আরও কার্যকর করতে পারেন এবং গরম ও বর্ষার দিনেও আরামদায়ক ও স্বস্তিদায়ক পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন।