স্বামীকে খুন স্ত্রী ও দেওরের! Chat থেকে ফাঁস হলো সব ষড়যন্ত্র, জেনেনিন কী লিখেছিল?

দিল্লির দ্বারকায় এক ব্যক্তিকে রহস্যজনকভাবে খুনের অভিযোগে তার স্ত্রী সুস্মিতা দেব এবং দেওর রাহুল দেবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১৩ জুলাই ৩৫ বছর বয়সী করণ দেবের মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হয়েছে বলে জানানো হলেও, পরবর্তীতে মোবাইল ফোনের চাঞ্চল্যকর কথোপকথন থেকে সামনে এসেছে এক সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের চিত্র।

পুলিশের দাবি, সুস্মিতা দেব এবং রাহুলের দীর্ঘদিনের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। করণের ছোট ভাই কুনাল তার স্ত্রীর ফোনে এই চাঞ্চল্যকর চ্যাট খুঁজে পেলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। চ্যাটগুলোতে করণকে খুন করার বিস্তারিত পরিকল্পনা স্পষ্ট ছিল।

চ্যাট থেকে বেরিয়ে এলো ভয়াবহ চিত্র:

চ্যাটগুলো থেকে জানা যায়, খুনের আগে সুস্মিতা ও রাহুলের মধ্যে কী ধরনের কথোপকথন হয়েছিল:

রাহুল: “আরও ওষুধ দাও।”

সুস্মিতা: “ওষুধ খাওয়ার তিন ঘণ্টা হয়ে গেছে। এখনও বমি হচ্ছে না, কিছু হচ্ছে না। মরছেও না। এখন কী করব?”

রাহুল: “বিদ্যুতের শক দাও।”

সুস্মিতা: “কীভাবে দড়ি বেঁধে শক দেব?”

রাহুল: “টেপ দিয়ে বেঁধে দাও।”

পরের মেসেজে সুস্মিতা: “ওর শ্বাস খুব স্লো হয়ে গেছে।”

রাহুল: “যত ওষুধ আছে সব দিয়ে দাও।”

সুস্মিতা: “ওর মুখ খুলছে না। জল ঢালতে পারি। ওষুধ খাওয়াতে পারছি না। তুমি এসে আমাকে সাহায্য করো। একসঙ্গে মিলে খাওয়াই।”

এই কথোপকথনগুলো থেকে স্পষ্ট, করণকে প্রথমে ওষুধের মাধ্যমে অচেতন করার চেষ্টা করা হয়েছিল, এবং সেই চেষ্টা ব্যর্থ হলে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

সন্দেহ ও তদন্ত:

গত ১৩ জুলাই করণ দেবকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে পরিবারকে জানানো হয়েছিল যে তার মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হয়েছে। তবে, সুস্মিতা, রাহুল এবং রাহুলের বাবা ময়নাতদন্তের বিরোধিতা করায় তদন্তকারীদের সন্দেহ বাড়ে। এরপরই করণের ভাই কুনাল চাঞ্চল্যকর চ্যাটগুলো খুঁজে পান, যা পুলিশের হাতে আসতেই মামলার মোড় ঘুরে যায়।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে সুস্মিতা ও রাহুল বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তারা একসঙ্গে থাকতে এবং করণের সম্পত্তির দখল নিতে এই ভয়ংকর পরিকল্পনা করেন।

বর্তমানে সুস্মিতা ও রাহুল দুজনেই পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং পুলিশ আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।