প্রেমের টানে আমেরিকার মাইন্ডি এখন পাকিস্তানের জুলেখা, সীমান্ত পেরোনো ভালোবাসার এক অবিশ্বাস্য গল্প

ভালোবাসা কি সত্যিই কোনো সীমানা মানে না? এই প্রশ্নই যেন আরও একবার বড় করে তুলল আমেরিকার ইলিনয়ের ৪৭ বছর বয়সী মাইন্ডি রাসমুসেনের প্রেমের গল্প। ভালোবাসার টানে নিজের থেকে ১৬ বছরের ছোট প্রেমিককে বিয়ে করতে সুদূর পাকিস্তান পাড়ি দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের ‘দ্য ডন’ পত্রিকার এই খবর এখন নেটদুনিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল।

জানা গেছে, বছরখানেক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পাকিস্তানের ৩১ বছর বয়সী সাজিদ জেব খানের সঙ্গে মাইন্ডির পরিচয় হয়। শুরুতে স্রেফ চ্যাট এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে দুজনের আলাপচারিতা শুরু হলেও, ধীরে ধীরে তা গভীর প্রেমে পরিণত হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই মাইন্ডি সাজিদকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। দুই পরিবারের সম্মতির পর এই মাসের শুরুতেই ৯০ দিনের ভিসা নিয়ে মাইন্ডি আমেরিকা থেকে ইসলামাবাদ পৌঁছান। বিমানবন্দরে প্রেমিক সাজিদ ফুল হাতে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর জন্য।

মাইন্ডি ধর্মান্তরিত হয়ে নতুন নাম গ্রহণ করেছেন জুলেখা। ইসলামাবাদ থেকে তিনি সাজিদের পৈতৃক বাড়ি খাইবার পাখতুনখাওয়ার দিরে পৌঁছেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এই নতুন দম্পতিকে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। প্রাচীন প্রথা মেনে সাজিদ এবং জুলেখার নিকাহ সম্পন্ন হয়েছে।

পাকিস্তান এবং এখানকার মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ জুলেখা। তিনি বলেন, “পাকিস্তান একটি খুব সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ দেশ।” তাঁর এই সিদ্ধান্তে আমেরিকা নিবাসী বাবা, দিদি এবং ছোট ভাইও খুশি এবং তাঁরা জুলেখাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। স্বামী সাজিদের বিনয়ী স্বভাবও তাঁকে মুগ্ধ করেছে বলে জুলেখা উল্লেখ করেছেন।

সাজিদ বলেন, “জুলেখা একজন স্বাধীন নারী। ধর্মান্তকরণ, বিয়ে—সব সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নিয়েছেন।” জুলেখা নিজেও সকলকে পাকিস্তানে এসে এখানকার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, উষ্ণ আতিথেয়তা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই ঘটনা প্রমাণ করে, সত্যিকারের ভালোবাসা জাতি, ধর্ম, বয়স বা ভৌগোলিক সীমারেখা কোনো কিছুই মানে না।