ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের কড়া নজরদারি, বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও গবাদিপশু উদ্ধার

পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ)। সম্প্রতি একাধিক অভিযানে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের চেষ্টা ব্যর্থ করে ৭ জন অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকের ভারতে প্রবেশ ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, বিএসএফ ৮.২ কেজি গাঁজা, নিষিদ্ধ মাদকসহ প্রায় ৯১ হাজার টাকা মূল্যের অবৈধ পণ্য জব্দ করেছে এবং চোরাকারবারীদের কবল থেকে ৩০টি গবাদি পশু উদ্ধার করেছে।
ইটাঘাটিতে গরুপাচার ব্যর্থ
৮৮ ব্যাটালিয়নের ইটাঘাটির সীমান্ত ফাঁড়ির আশেপাশে সম্ভাব্য গরুপাচার কার্যকলাপের গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিএসএফ উচ্চ সতর্কতা জারি করে এবং একটি বিশেষ অ্যামবুশ পরিকল্পনা তৈরি করে। ভোর ৪:৩০ মিনিট নাগাদ, অ্যামবুশ টিমের জওয়ানরা দেখতে পান যে, ২০-২২ জন চোরাকারবারী গরুর পাল নিয়ে দ্রুত সীমান্তের বেড়ার দিকে এগিয়ে আসছে।
চোরাকারবারীদের কাছাকাছি পৌঁছে জওয়ানরা তাদের থামতে সতর্ক করে এবং তাদের দিকে এগিয়ে যান। বিএসএফের তৎপরতা দেখে চোরাকারবারীরা আতঙ্কিত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দলটি মোট ১৭টি বড় আকারের এবং ৮টি মাঝারি আকারের মহিষ উদ্ধার করে।
নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় সাফল্য
একই দিনে, পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আরও বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। নদিয়া জেলার নরসারিপাড়া সীমান্ত ফাঁড়িতে মোতায়েন ১৪৬ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা ৮.২ কেজি গাঁজা জব্দ করেছেন। অন্যদিকে, ১৪৩ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা নিষিদ্ধ ও অবৈধ ওষুধের একটি চালান উদ্ধার করেছেন। এছাড়াও, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সীমান্ত পর্যবেক্ষণকারী বিএসএফ জওয়ানরা ৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করতে বাধা দিয়ে সফলভাবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছেন।
এই ধারাবাহিক অভিযানগুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের কড়া নজরদারি এবং চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ রুখতে তাদের নিরন্তর প্রচেষ্টারই প্রতিফলন। এর ফলে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় হয়েছে।