পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদে আসিম মুনির? শেহবাজ শরিফ সাক্ষাতে জল্পনা আরও তীব্র

পাকিস্তানে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই, ২০২৫) সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বৈঠক এই জল্পনাকে আরও জোরদার করেছে। যদিও সরকারিভাবে কোনো ঘোষণা আসেনি, তবে প্রেসিডেন্ট পদে জারদারির স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন মুনির—এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রীরা অবশ্য এই দাবি প্রত্যাখ্যান করছেন।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের বাসভবনে জারদারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শেহবাজ শরিফ। এর কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছে শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেন মুনির। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একের পর এক এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকগুলো প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন নিয়ে জল্পনা উসকে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এই আবহে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন যে, রাষ্ট্রপতি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের মধ্যে বৈঠকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ এবং সেই পদে সেনাপ্রধানের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি। তিনি এই ধরনের সমস্ত প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
খাজা আসিফ আরও বলেন, মিডিয়াই এই জল্পনা শুরু করেছিল। তবে সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে আসিফ বলেন, প্রেসিডেন্ট জারদারিকে সব ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি সরকার ও বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা দেখিয়েছেন।
পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও নিশ্চিত করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী অসমর্থিত প্রতিবেদন ও অগ্রগতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার আগে শেহবাজ শরিফ আসিম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বলেও তিনি জানান। আসিফ বলেন, এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই, কারণ প্রধানমন্ত্রী এবং ফিল্ড মার্শাল বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সপ্তাহে তিনবার বৈঠক করছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সেনাপ্রধান রাজনীতিতে আগ্রহী নন।”
তবে, মন্ত্রীরা যতই জল্পনা উড়িয়ে দিন না কেন, উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকগুলো পাকিস্তানের রাজনৈতিক করিডরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এবং দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।