RG kar কান্ড! আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়কে চ্যালেঞ্জ, হাইকোর্টে বেকসুর খালাসের আবেদন সঞ্জয় রায়ের

আরজি কর হাসপাতালে নার্সিং পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নিম্ন আদালতে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত সঞ্জয় রায় এবার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। তাঁর দাবি, এই মামলায় তাঁকে বেকসুর খালাস দিতে হবে। হাইকোর্ট তাঁর আবেদন গ্রহণ করেছে এবং আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার এই মামলায় আদালতকে সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।

সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ, পরিবারের দাবি ‘আসল খুনি বাইরে’:

উল্লেখ্য, এই চাঞ্চল্যকর আরজি কর কাণ্ডে একমাত্র সঞ্জয় রায়কেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল নিম্ন আদালত। সিবিআই তাদের চার্জশিটেও শুধুমাত্র সঞ্জয়কেই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তবে শুরু থেকেই সিবিআই তদন্তে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তাঁদের বরাবরই দাবি, তাঁদের মেয়ের আসল খুনি এখনও আরজি করের চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টেই রয়েছে এবং বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই আবহে গত ১৭ই জুন সঞ্জয় রায় বেকসুর খালাস চেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। তাঁর আইনজীবীর দাবি, তাঁদের মক্কেলকে বেকসুর খালাস করার যথেষ্ট কারণ আছে।

নিম্ন আদালতের রায় ও সাজা:

গত ২০ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালতে এই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক অনির্বাণ দাস। তিনি সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শোনান। আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হবে। এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি আদালত সঞ্জয়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৩ (ধর্ষণ), ৬৪ (ধর্ষণের সময় এমনভাবে আঘাত করা, যাতে মৃত্যু হয়) এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছিল।

বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারার আওতায় সঞ্জয় রায়কে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ৬৬ ধারার আওতায় আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ১০৩ (১) ধারার আওতায় সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা দেওয়া হয়েছে। যদিও সিবিআই এই মামলায় সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে আদালতে জোর সওয়াল করেছিল, বিচারক এটিকে ‘বিরলের থেকে বিরলতম’ মামলা হিসেবে গণ্য করেননি। আদালত আরও নির্দেশ দেয় যে, নির্যাতিতার পরিবারকে রাষ্ট্রকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু হলে আরজি কর কাণ্ডের রহস্যের ওপর আরও আলোকপাত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।