OMG! “কঙ্কালের নোকিয়া ফোনে ৮৪ মিসড কল”-১০ বছর আগে নিখোঁজ যুবকের দেহাবশেষ উদ্ধার

হায়দ্রাবাদের নামপল্লি এলাকার একটি ফাঁকা বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, কঙ্কালটি অন্তত ১০ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া আমির খানের। সোমবার এক স্থানীয় যুবক ক্রিকেট বল খুঁজতে গিয়ে ফাঁকা বাড়িটির ভেতরে কঙ্কালটি দেখতে পান এবং সেই দৃশ্য ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ঘর থেকে একটি পুরনো নোকিয়া ফোন এবং বাতিল হয়ে যাওয়া ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট উদ্ধার করেছে। ফোনটি চালু করে দেখা যায়, ২০১৫ সালে ৮৪টি মিসড কলের রেকর্ড রয়েছে। এই সূত্র ধরে পুলিশের ধারণা, আমিরের মৃত্যু ২০১৫ বা তার আগেই হয়ে থাকতে পারে। ২০১৬ সালের নোটবাতিলের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ ও পরিবারের সদস্যের সাক্ষ্য
বাড়িটির মালিক মুনির খানের ১০ জন সন্তান থাকলেও কেউ ওই বাড়িতে থাকতেন না। এলাকাবাসীর দাবি, অন্তত সাত বছর ধরে বাড়িটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মুনির খানের চতুর্থ সন্তান আমির খান মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন কেউ তাঁর খোঁজ না নেওয়ায় মৃত্যুর খবরও প্রকাশ পায়নি।
মৃত আমিরের ভাই শাদাব খান কঙ্কালের পাশে পাওয়া একটি আংটির মাধ্যমে দেহাবশেষ শনাক্ত করেছেন। একই সঙ্গে কঙ্কালের পাশে পাওয়া হাফপ্যান্টও তাঁর দাদার বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
হায়দ্রাবাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (এসিপি) কিষান কুমার বলেন, “কোনো আঘাতের চিহ্ন বা রক্তের দাগ পাওয়া যায়নি। মনে হচ্ছে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘদিন কেউ খোঁজ না নেওয়াটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।”
ইতিমধ্যেই পুলিশের বিশেষ দল CLUES ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। দেহাবশেষ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, যাতে সঠিক পরিচয় ও মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা যায়।
এই ঘটনা পারিবারিক অবহেলা এবং সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা মানুষদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার অভাবের এক করুণ চিত্র তুলে ধরল।