“শিঙাড়া-জিলিপি ‘নিষিদ্ধ’ নয়, শুধু ঝুলবে বোর্ড”-নির্দেশিকা নিয়ে মতামত স্পষ্ট করল কেন্দ্র

শিঙাড়া, জিলিপি বা লাড্ডুর মতো জনপ্রিয় ভারতীয় খাবার নিষিদ্ধ হচ্ছে – সম্প্রতি এমন জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে যে, এই খাবারগুলির ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। তবে, এগুলিতে থাকা উচ্চমাত্রার চর্বি ও চিনি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কোনো সতর্কতামূলক লেবেল নয়, লক্ষ্য সচেতনতা বৃদ্ধি
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক পরিষ্কার জানিয়েছে, কোনো খাবারেই সতর্কতামূলক লেবেল বসানোর কথা বলা হয়নি। এমনকি, রাস্তার ধারের দোকান বা বিক্রেতাদেরও আলাদাভাবে লক্ষ্য করা হয়নি। মন্ত্রকের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো, কোনো নির্দিষ্ট খাবারকে নিষিদ্ধ করা নয়।

‘অয়েল অ্যান্ড ফ্যাট বোর্ড’ কোথায় টাঙানো হবে?
মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ‘অয়েল অ্যান্ড ফ্যাট বোর্ড’ টাঙাতে হবে অফিসের ক্যান্টিন, লবি, মিটিং রুম, হাসপাতাল এবং জনবহুল জায়গায়। এই বোর্ডগুলোর মাধ্যমে জানানো হবে যে, অতিরিক্ত তেল আর চিনি শরীরে কী ধরনের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। মন্ত্রক আরও জোর দিয়ে বলেছে, “এটি কোনো খাবারকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ নয়, বরং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়নোর একটি উদ্যোগ।”

ভারতীয় খাবারের সংস্কৃতিতে হস্তক্ষেপ নয়
মন্ত্রক স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, শিঙাড়া, জিলিপি, লাড্ডু – এই সব খাবার নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। ভারতের সমৃদ্ধ রাস্তার খাবারের সংস্কৃতিকে লক্ষ্য করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও তারা জানিয়েছে।

মূল উদ্দেশ্য: ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
এই পদক্ষেপটি জাতীয় অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (NP-NCD)-র অধীনে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও উচ্চ রক্তচাপের মতো অসংক্রামক রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে, যার পেছনে অতিরিক্ত তেল-চিনির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। এই উদ্বেগ থেকেই মন্ত্রক এই উদ্যোগ নিয়েছে।

মন্ত্রকের পরামর্শ সহজ এবং স্পষ্ট: শিঙাড়া বা জিলিপি খান, তবে সচেতন থাকুন। বেশি তেল-চিনির ক্ষতি বোঝার জন্য অফিস-ক্যান্টিনে সেই বোর্ডগুলোর দিকে চোখ রাখুন। যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন এবং নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও শারীরিক সক্রিয়তা বজায় রেখে সুস্থ জীবনযাপন করুন।