OMG! ১০ম শ্রেণির ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু, পোস্টমর্টেমের জন্য কবর থেকে তোলা হলো দেহ

দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার অন্তর্গত উত্তর কুসুম তালপুকুর এলাকায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু এবং তার মৃতদেহ গোপনে কবর দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার সকালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ কবর খুঁড়ে ওই নাবালিকার দেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় রহস্য আরও গভীর হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত নাবালিকার এলাকারই এক নাবালকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এমনকি একসময় সে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। এরপর রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ এই নাবালিকার মৃত্যু হয়। বিকেলের মধ্যেই গোপনে তার দেহ কবর দেওয়া হয়, যা এই ঘটনায় সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। এটি আত্মহত্যা, নাকি পিটিয়ে খুন – নাবালিকার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।

জানা যাচ্ছে, নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার কোনো অভিযোগ থানায় দায়ের করা হয়নি। এমনকি প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই রাতারাতি গোপনে ছাত্রীর দেহ কবর দিয়ে দেয় পরিবার। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ময়নাতদন্তের জন্য কবর খুঁড়ে নাবালিকার দেহ তুলে ডায়মন্ড হারবার মর্গে পাঠানো হয়।

মেয়েটির মৃত্যুর খবর পেয়ে পঞ্চায়েতের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এই ঘটনায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।

এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য রেজাউল হক গাজি এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত সন্দেহজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “গোপনে দেহ কবর দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত সন্দেহজনক। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতেই হবে।”

পুলিশ ইতিমধ্যেই মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, আত্মহত্যার সম্ভাবনা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপরই এই রহস্যমৃত্যুর জট খোলার অনেকটাই নির্ভর করছে।