ঘটনাসুত্রে জানা গেলো “একবার ঋষি কাপুরের বাড়িতে ছুরি নিয়ে হামলা করেছিলেন সঞ্জয় দত্ত” কেন ?

বলিউডের অলিতে-গলিতে কান পাতলেই শোনা যায় কত না অদ্ভুত সব গল্প। কিছু মজাদার, কিছু আবার স্তম্ভিত করে দেওয়ার মতো। ঋষি কাপুর এবং সঞ্জয় দত্তের তেমনই এক চাঞ্চল্যকর অধ্যায়ের কথা আজও বি-টাউনের চর্চায় উঠে আসে। সত্তরের দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত ঋষি কাপুর ছিলেন বলিউডের একচ্ছত্র সম্রাট। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়ে তিনি তখন তারকাদের শিখরে। ঠিক সেই সময়েই বলিউডে পা রাখেন আরেক তারকা সন্তান, সঞ্জয় দত্ত।

‘রকি’ বনাম ‘ববি’: নতুন প্রজন্মের আবির্ভাব

১৯৭৩ সালে ‘ববি’ ছবির হাত ধরে ঋষি কাপুরের ঝলমলে অভিষেক হয়। অন্যদিকে, ১৯৮১ সালে ‘রকি’ ছবির মাধ্যমে সঞ্জয় দত্তের বলিউড যাত্রা শুরু হয়। এই ‘রকি’ ছবিতেই সঞ্জয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তৎকালীন নবাগতা টিনা মুনিম। ছবির শুটিং চলাকালীনই সঞ্জয় এবং টিনার মধ্যে প্রেমের সূত্রপাত হয়। ছবি মুক্তির পর তাদের প্রেমকাহিনী বলিউডের অন্দরে এবং বাইরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

প্রেমের সমীকরণে তৃতীয় ব্যক্তি: ঋষি কাপুরের প্রবেশ

তবে গল্পের মোড় নেয় তখনই, যখন ‘রকি’র সঙ্গেই মুক্তি পায় টিনা মুনিম অভিনীত আর একটি ছবি, ‘কার্জ’। এই ছবিতে টিনার নায়ক ছিলেন ঋষি কাপুর। আর এখান থেকেই শুরু হয় ঋষি-টিনার প্রেমের গুঞ্জন। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে তাদের ঘনিষ্ঠতার খবর।

সঞ্জয়ের উন্মত্ততা: ছুরি হাতে ঋষির বাড়িতে!

টিনা এবং ঋষির প্রেমের খবর সঞ্জয় দত্তের কানে পৌঁছতেই তিনি যেন উন্মত্ত হয়ে ওঠেন। সেই সময় সঞ্জয় মাদকাসক্তির সঙ্গে লড়ছিলেন। শোনা যায়, মদ্যপ অবস্থায় তিনি হাতে ছুরি নিয়ে ঋষি কাপুরের বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন, তাঁকে মারার উদ্দেশ্যে! ঋষির স্ত্রী, নীতু সিংয়ের বুদ্ধিমত্তা এবং হস্তক্ষেপে সেদিন পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। নীতু তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করেন এবং একটি বড় অঘটন এড়ানো সম্ভব হয়।

সম্পর্কের ইতি: মাদকের প্রভাবে বিচ্ছেদ

পরবর্তীকালে, টিনা মুনিম সঞ্জয় দত্তের মাদকাসক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। তাঁর এই অভ্যাস মেনে নিতে না পেরে টিনা সঞ্জয়কে ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সঞ্জয় বহু চেষ্টা করেও টিনাকে বোঝাতে পারেননি, তাদের প্রেম চিরতরে ভেঙে যায়।

এই ঘটনাই প্রমাণ করে, তারকাদের জীবনও সাধারণ মানুষের মতোই প্রেম, ঈর্ষা আর ব্যক্তিগত লড়াইয়ে ভরা। গ্ল্যামারের আড়ালে লুকিয়ে থাকে এমন অনেক অজানা গল্প, যা বলিউডের ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।