ফুলশয্যার রাতে কনের মাথা ঘুরছিল, বর প্রেগন্যান্সি কিট আনতেই… অতঃপর যা ঘটলো?

উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলায় বিয়ের প্রথম রাতেই ঘটে গেল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা, যা নববিবাহিত দম্পতির ‘সুহাগরাত’কে রীতিমতো নাটকে পরিণত করেছে। বর তাঁর নতুন বউকে উপহার হিসেবে দিলেন একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষার কিট, যা দেখে কনে রেগে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করলেন তাঁর বাবাকে! এরপর শুরু হয় তীব্র হট্টগোল, বসে পঞ্চায়েত এবং শেষে ক্ষমা চাওয়ার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পুরো ঘটনাটি যেন সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়!

ঘটনার সূত্রপাত হয় বিয়ের পর। কনে ক্লান্তি ও গরমের কারণে মাথা ঘোরার কথা বললে বর তা তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে জানান। বন্ধুরা মজা করে বরকে বলেন, এই মাথা ঘোরা প্রেগন্যান্সির লক্ষণও হতে পারে। বন্ধুদের এই ‘সন্দেহ’ থেকেই বর প্রভাবিত হন। তিনি স্থানীয় মেডিকেল স্টোর থেকে একটি প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট সংগ্রহ করেন এবং প্রথম রাতে কনেকে সেটি ব্যবহার করতে দেন।

কনের ক্ষোভ, দুই পরিবারের ঝগড়া ও পঞ্চায়েত:
বিয়ের প্রথম রাতেই এমন আচরণে কনে ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হন। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর পরিবারের লোকজনকে ফোন করে জানান যে স্বামী তাঁকে সন্দেহ করছে এবং এর মাধ্যমে তাঁর চরম অপমান করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই পরিবারের সদস্যরা শ্বশুরবাড়িতে উপস্থিত হন। শুরু হয়ে যায় তীব্র বাকবিতণ্ডা ও হট্টগোল। একপর্যায়ে গ্রামের প্রবীণেরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দিতে পঞ্চায়েত বসান। দুই ঘণ্টা ধরে চলে এই আলোচনা ও মধ্যস্থতা।

বরের ক্ষমা চাওয়া ও মিটমাট:
অবশেষে, আলোচনার পর বর তাঁর ভুল স্বীকার করে কনের কাছে ক্ষমা চান। তিনি বলেন, “আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। বন্ধুরা বলেছিল, আমিও ভেবেছিলাম মাথা ঘোরার কারণ অন্য কিছু হতে পারে।” বরের এই স্বীকারোক্তি এবং ক্ষমাপ্রার্থনার পর কনের পরিবারও শান্ত হয় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই অস্বাভাবিক ঘটনাটি গ্রামের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।