আইআইএম জোকা কাণ্ড, অভিযুক্ত আদালতে, দুই পক্ষের আইনজীবীদের পালটাপালটি যুক্তি

সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার শিরোনামে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) জোকা। প্রতিষ্ঠানের বয়েজ হস্টেলে এক তরুণীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তকে আজ আলিপুর আদালতে তোলা হলো। এই ঘটনায় দুই পক্ষের আইনজীবীদের পালটাপালটি যুক্তিতে আদালত চত্বরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
আইআইএম-এর মানহানির অভিযোগ তুলেছেন অভিযুক্তের আইনজীবী
অভিযুক্তের আইনজীবী আজ আদালতে দাবি করেন যে, তার মক্কেলকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “এটি একটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং এই ধরনের অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে। আমার মক্কেল সম্পূর্ণ নির্দোষ, এবং এর পিছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে।” তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে এবং তার মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। অভিযুক্তের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানিয়েছেন, এবং দাবি করেছেন যে মামলাটি দ্রুত খারিজ করা হোক।
কঠোর শাস্তির দাবি জানালেন অভিযোগকারীর আইনজীবী
অন্যদিকে, অভিযোগকারী তরুণীর আইনজীবী আজ আদালতে অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলের মতো নিরাপদ স্থানে এমন জঘন্য ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত মনে করবে? এই ধরনের অপরাধীদের সমাজে কোনো স্থান নেই।” তিনি আরও বলেন, তার মক্কেল মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, এবং অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করা হলে তা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী হবে। অভিযোগকারীর আইনজীবী এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, এবং দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত
গতকাল আইআইএম জোকার বয়েজ হস্টেলে এক তরুণীকে মাদক মিশিয়ে বেহুঁশ করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অভিযুক্তকে গতকালই গ্রেফতার করে।
বর্তমানে এই মামলার দিকে সবার নজর। আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে কী রায় দেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।