“আমি মেলায় যাচ্ছি…”-বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী, জঙ্গলে মিলল নিথর দেহ
মেলায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু বাড়ি ফেরা আর হলো না। শনিবার সকালে বীরভূমের সদাইপুর থানার অন্তর্গত একটি জঙ্গল থেকে সেই তরুণীর রহস্যজনকভাবে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃত ওই তরুণী শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেলায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর থেকে তার মোবাইল ফোন ‘সুইচড অফ’ হয়ে যায় এবং তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা যায়নি। সারারাত ধরে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। এরপর শনিবার সকালে বাড়ির থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে একটি জঙ্গলের মধ্যে তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মৃতদেহ উদ্ধারের সময় তরুণীর গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় ছিল, যা দেখে প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধ করে খুনের সন্দেহ করা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা সদাইপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর আসল কারণ এবং ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরিবার সূত্রে আরও জানা গেছে, ওই তরুণীর প্রায় আট বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তার স্বামীর মৃত্যু হয়। তাদের আট বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।
তরুণীর কাকা অভিযোগ করেছেন যে, বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় তার কানে সোনার দুল, হাতে সোনার বালা এবং মোবাইল ফোন ছিল। কিন্তু মৃতদেহ উদ্ধারের সময় সেসব গয়না ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। এর থেকে মনে করা হচ্ছে, খুন করার আগে বা পরে তাকে লুট করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।