শিব পুজোয় অপরিহার্য কেন বেলপত্র? খুব কম লোকই জানেন এ সম্পর্কে, বেলগাছের মহত্ত্ব জেনে নিন

শ্রাবণ মাস ভগবান শিবের প্রিয় মাস হিসেবে পরিচিত। এই পবিত্র সময়ে শিবলিঙ্গে জল ও বেলপত্র অর্পণ করে ভক্তরা মহাদেবের কৃপা লাভের আশায় পুজো করেন। সহজে সন্তুষ্ট হওয়া দেবতারূপে তিনি ‘ভোলেনাথ’ নামেও পরিচিত। মনে করা হয়, আন্তরিকতার সঙ্গে খুব সহজ পুজো করলেই তিনি আশীর্বাদ করেন।
বেলপত্রের গুরুত্ব
শাস্ত্রমতে, শিবপুজোয় বেলপত্র অপরিহার্য। বলা হয়, যদি একজন ভক্ত নিঃস্বার্থ ভক্তিভাবে শিবলিঙ্গে মাত্র একটি বেলপত্রও নিবেদন করেন, তাতেই ভগবান শিব তুষ্ট হন এবং ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন।
পুরাণ অনুসারে বেলপত্রের মাহাত্ম্য
শিবপুরাণে বলা হয়েছে, শিবকে বেলপত্র অর্পণের ফল এক কোটি কন্যা দানের সমান। বেলপাতা ও জল ভোলেনাথের মন শীতল রাখে। সমুদ্র মন্থনের সময় হলাহল বিষ পান করার পর দেবতারা শিবের বিষের প্রভাব হ্রাস করতে তাঁর ওপর বেলপাতা ও জল ঢেলে ছিলেন।
লক্ষ্মীদেবীর তপস্যা ও শিবের আশীর্বাদ
এক সময় মা লক্ষ্মী ভগবান বিষ্ণুর হৃদয়ে স্থান পাওয়ার জন্য মহাদেবের তপস্যা করেছিলেন। তিনি কোটি কোটি বেলপাতা দিয়ে শিবপুজো করেন। তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে ‘হরিপ্রিয়া’ উপাধিতে ভূষিত করেন। বিশ্বাস করা হয়, কেউ যদি বেলপাতা দিয়ে মাটির শিবলিঙ্গ পুজো করেন, তাহলে তার সব ইচ্ছা পূরণ হয়।
পিতৃপক্ষে বেলগাছ রোপণের গুরুত্ব
পিতৃপক্ষে বেলগাছ রোপণ করলে অতৃপ্ত পূর্বপুরুষদের আত্মা শান্তি পায় বলে মনে করা হয়। এটি একধরনের পুণ্যকর্ম হিসেবেও বিবেচিত।
বেলগাছের পৌরাণিক উৎস
এক পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, একবার মা পার্বতীর ঘামের ফোঁটা মন্দারাচল পর্বতের উপরে পড়লে সেখান থেকে বেলগাছ জন্ম নেয়। তাই বিশ্বাস করা হয়, এই গাছে মা পার্বতী স্বয়ং বিভিন্ন রূপে অধিষ্ঠান করেন।