Recipe: ভাতের পাতে থাক কুচো চিংড়ির বড়া, শিখেনিন বাঙালি রান্নার সেরা পদ্ধতি

বাঙালি মানেই খাদ্যপ্রেমী! মাছ-মাংস থেকে শুরু করে হরেক রকম নিরামিষ পদ— সবই চেটেপুটে খাওয়া চাই। আর বাঙালির রান্নাঘরে চিংড়ি মাছের কদর তো বরাবরই আলাদা। মালাইকারি, সর্ষে চিংড়ি, কিংবা আলু-ফুলকপি দিয়ে ঝোল— চিংড়ির যেকোনো পদই যেন অমৃতসমান। তবে এই সব পদের ভিড়ে যে ছোট্ট চিংড়ি অর্থাৎ কুচো চিংড়ি মোটেও পিছিয়ে নেই, তা প্রমাণ করবে আজকের এই বিশেষ রেসিপি। আকারে ছোট হলেও স্বাদে এই কুচো চিংড়ি দশ গোল দেবে সব বাঘা বাঘা পদকে!

মধ্যাহ্নভোজ হোক বা নৈশভোজ, গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সঙ্গে কয়েকটা মুচমুচে কুচো চিংড়ির বড়া থাকলে আর কিছু লাগে না! আর এটা বানানোও কিন্তু খুব সহজ। চলুন, চটজলদি জেনে নিই এই সুস্বাদু বড়া বানানোর সহজ রেসিপি।

উপকরণ:
কুচো চিংড়ি: ২৫০ গ্রাম

মুসুর ডাল বাটা: ১ কাপ

বেসন: ১ টেবিল চামচ

চালগুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ

কালো জিরে: আধ চা চামচ

পেঁয়াজ কুচি: ১ টেবিল চামচ

আদা-রসুন বাটা: ২ চা চামচ

কাঁচালঙ্কা কুচি: ২-৩টি (স্বাদমতো)

ধনেপাতা কুচি: ২ টেবিল চামচ

নুন, চিনি, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো: পরিমাণমতো

সর্ষের তেল: ভাজার জন্য

পদ্ধতি:
১. প্রথমে কুচো চিংড়িগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। যদি খুব বড় থাকে, তাহলে আরেকটু ছোট করে কেটে নিতে পারেন।

২. এবার একটা বড় পাত্রে ধোয়া চিংড়ি মাছ, মুসুর ডাল বাটা, বেসন, চালগুঁড়ো, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, আদা-রসুন বাটা, কালো জিরে, ধনেপাতা কুচি এবং সমস্ত গুঁড়ো মশলা— নুন, হলুদ, চিনি ও লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে দিন।

৩. সব উপকরণ একসঙ্গে খুব ভালো করে মেখে নিন। খেয়াল রাখবেন, মিশ্রণটি যেন শুকনো শুকনো হয়, জল যেন বেশি না থাকে। দরকার হলে সামান্য বেসন বা চালের গুঁড়ো যোগ করতে পারেন।

৪. এবার মিশ্রণটি থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে আপনার পছন্দমতো বড়ার আকারে গড়ে নিন।

৫. একটি কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে মাঝারি আঁচে বড়াগুলো সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন।

৬. গরম গরম ভাতের সাথে মুচমুচে কুচো চিংড়ির বড়া পরিবেশন করুন আর দেখুন, দুপুর বা রাতের খাওয়াটা কেমন জমে যায়!