ধর্ষণকাণ্ডের পরদিন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালকে ফোন মনোজিতের, দু’জনের মধ্যে কী কথা হয়েছিল?

কসবা গণধর্ষণকাণ্ড ঘিরে এবার সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার পরদিন সকালে সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডঃ নয়না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের ফোনালাপের প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করেছে কলকাতা পুলিশের ৯ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। এই তথ্য উঠে এসেছে অভিযুক্তদের কল ডিটেলস রেকর্ড (CDR) বিশ্লেষণের সময়।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে SIT-এর এক সদস্য জানান,“ঘটনার ঠিক পরদিন সকালে মনোজিতের নম্বর থেকে ভাইস প্রিন্সিপালের নম্বরে ফোন করা হয়েছিল। সেই কথোপকথনের পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁকে দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।”
তদন্তকারীরা কলেজ সংলগ্ন এক ওষুধের দোকান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে, যেখানে অভিযুক্ত জইব আহমেদকে ইনহেলার কিনতে দেখা গিয়েছে।ফার্মেসির মালিক পুলিশের জেরায় জানিয়েছেন,“জইব প্রথমে অর্ধেক টাকা নগদে ও বাকিটা UPI-তে দিতে চেয়েছিল। পরে সে পুরো টাকা অনলাইনেই দেয়।”এই তথ্য মিলেছে নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে, কারণ তাঁর অভিযোগেও ইনহেলার আনার কথা উল্লেখ ছিল।
ঘটনাদিন কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে ১৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন,“২৫ জুন কলেজ চত্বরে তাঁরা কিছু দেখেছেন বা শুনেছেন কিনা, তা জানার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি, ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট, মেডিক্যাল রিপোর্ট ও ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া তথ্য নির্যাতিতার অভিযোগকে যথেষ্টভাবে সমর্থন করছে।”
মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানান,“এফআইআর দায়ের হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই আমরা তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। পরে আরও একজনকে ধরা হয়। বিষয়টি সংবেদনশীল, তাই বিস্তারিত জানানো সম্ভব নয়, তবে তদন্তে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করেছি।”