দিল্লি এইমস থেকে ছাড়া পেলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, স্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি

তমলুকের বিজেপি সাংসদ এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) শারীরিক অবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিনের উদ্বেগ অবশেষে কাটল। গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হওয়ার পর, দিল্লি এইমস (AIIMS Delhi) হাসপাতালে সফল চিকিৎসার পর মঙ্গলবার রাতে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

তবে, এখনই কলকাতায় ফিরছেন না তমলজিৎ সাংসদ। চিকিৎসকরা তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সে কারণে, আপাতত তিনি দিল্লিতেই থাকবেন বলে জানা গেছে। গত মাসে তলপেটে ব্যথা এবং বমির উপসর্গ নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয় এবং পরবর্তীতে তাঁর প্যানক্রিয়াসের সমস্যা ধরা পড়ে। কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসা চললেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরিবারের সিদ্ধান্তে এবং বিজেপি নেতৃত্বের সম্মতিতে তাঁকে দিল্লি এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

দিল্লি এইমসে ভর্তির পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যের দ্রুত উন্নতি হয়। তাঁর শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্লুইড অপসারণ করা হয় এবং একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা তদারকি করা হয়। কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়ও তার শরীর থেকে ফ্লুইড বের করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন, যা হাসপাতাল থেকে মুক্তির প্রধান কারণ।

নেতৃত্বের পাশে: দলীয় সমর্থন অব্যাহত

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অসুস্থতার সময় থেকেই বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর পাশে ছিলেন। কলকাতার হাসপাতালে থাকাকালীন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা তাঁকে দেখতে যান। দিল্লিতে অভিজিৎকে দেখতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এছাড়া, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন, যা দলের পক্ষ থেকে অভিজিতের প্রতি সংহতি ও উদ্বেগের প্রমাণ।

কবে ফিরবেন কলকাতায়?

দিল্লি এইমস সূত্রে খবর, আপাতত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দূরপাল্লার যাত্রা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশনার ফলেই তিনি এখনই কলকাতায় ফিরছেন না। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার পরই তিনি কলকাতা ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই বিরতির পর তিনি পুনরায় পূর্ণ উদ্যমে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছে তাঁর শুভানুধ্যায়ী এবং দলের কর্মী-সমর্থকরা।