রথ যাত্রায় সেজে উঠছে দিঘা, প্রথম রশিতে টান মমতার, কোন পথে গড়াবে রথের চাকা?

রাত পোহালেই রথযাত্রা। আর এবারের রথযাত্রা পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকত শহর দিঘার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চলেছে। নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের প্রাঙ্গণে দিঘা প্রথমবারের মতো এই পুণ্য উৎসবের আয়োজন করছে, যা ঘিরে গোটা শহরে এখন উৎসবের সাজ সাজ রব। ইতিমধ্যেই দিঘায় এসে পৌঁছেছেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল, শুক্রবার, রথযাত্রার শুভলগ্নে তিনিই রথের রশিতে টান দিয়ে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হবেন।

অক্ষয় তৃতীয়ার পবিত্র দিনে পুরীর আদলে তৈরি দিঘার এই জগন্নাথ মন্দির জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। তারপর থেকেই এটি পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। এবার প্রথমবার রথযাত্রা উপলক্ষে দিঘায় যে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে, তা নজিরবিহীন। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং তাঁর উপহার দেওয়া সোনার ঝাঁটা দিয়ে রথের সামনের পথ পরিষ্কার করে রশির টানে এই মহাযাত্রার সূচনা করবেন।

দিঘায় প্রথমবার আয়োজিত এই রথযাত্রা উৎসবে লাখ লাখ পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের সমাগম হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই বিপুল জনসমাগম সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসন বিশেষ জোর দিয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থার উপর। মন্দিরের চার কোণে চারটি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে এবং রথ যে পথে গড়াবে, সেই সমগ্র পথে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

কোন পথে গড়াবে রথের চাকা?

জানা গেছে, দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দির থেকে পুরনো মন্দির পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার পথ জুড়ে রথ টানা হবে। রথ যাত্রা শুরু হবে মন্দিরের দক্ষিণ গেট দিয়ে। এরপর ১১৬-বি জাতীয় সড়ক ধরে রথ তার মাসির বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাবে। নিরাপত্তার স্বার্থে, শুধুমাত্র অলিম্পিয়ান ও সাধুসন্তদের রথের সামনে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর দিঘা সফর এবং এই মেগা রথযাত্রা উপলক্ষে গোটা দিঘায় কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা স্টেশন পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে, দিঘার এই প্রথম রথযাত্রা এক স্মরণীয় উৎসব হয়ে উঠতে চলেছে, যা বাংলার পর্যটন মানচিত্রে দিঘাকে আরও এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।