এক মুহূর্তের জন্য কেন পিছিয়ে গিয়েছিল রাজা-খুনের ছক? মেঘালয়-কাণ্ডে প্রকাশ্যে বড় তথ্য

মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীকে খুনের ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। জানা গেছে, খুনের জন্য ভাড়া করা সুপারি কিলাররা এক মুহূর্তের জন্য পিছু হটেছিল, কিন্তু সোনমের টাকার লোভেই তারা শেষ পর্যন্ত এই নৃশংস কাজটি করে।

সূত্রে খবর, গত ২৩ মে যেদিন রাজা রঘুবংশীকে খুন করা হয়, সেদিন প্রথমে তাকে নির্জন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সোনম, ‘একান্তে ঘোরার টোপে’ রাজাকে মেঘালয়ের পাহাড়ের ফাঁকা এলাকায় নিয়ে যায়। তাদের পিছু নেয় সোনমের ঘনিষ্ঠ অভিযুক্ত রাজ কুশওয়াহা এবং তার ভাড়া করা সুপারি কিলাররা। এমনকি, খুনের জন্য একটি কুড়ুল অনলাইনে কেনা হয়েছিল।

তবে পাহাড়ে উঠতে গিয়ে প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে পড়ায় সুপারি কিলার বিশাল এক মুহূর্তের জন্য খুন করতে অস্বীকার করে। ঠিক তখনই এগিয়ে আসে সোনম। রাজাকে একা রেখে সে সুপারি কিলারদের সঙ্গে দেখা করে। স্বামীকে খুন করার জন্য সোনম সুপারি কিলারদের ২০ লক্ষ টাকার টোপ দেয়। এমনকি, তাৎক্ষণিকভাবে তাদের হাতে ১৫ হাজার টাকাও তুলে দেয় সে। পরবর্তীতে রাজ কুশওয়াহারা ধরা পড়লে পুলিশ সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করে।

কিন্তু কেন সোনম নিজের জীবন থেকে রাজাকে সরাতে এত ব্যতিব্যস্ত ছিল? জানা গেছে, ইন্দোরের এক ব্যবসায়ী পরিবারের কন্যা সোনম। তার বাবার অফিসেই কাজ করত রাজ কুশওয়াহা। বিয়ের আগে থেকেই সোনমের সঙ্গে রাজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আর এই সম্পর্কই সমস্যার সূত্রপাত।

আত্মসমর্পণের পর সোনম পুলিশকে জানিয়েছে, রাজের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। আর সেই প্রেম বজায় রাখতেই বিয়ের মাত্র তিন দিনের মাথায় এই খুনের ছক কষা হয়। বিয়ের পাঁচ দিনের মাথায় সম্পন্ন হয় এই নৃশংস কাজ। ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত রাজের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে যে, সোনম তাকে বলছে যে সে রাজার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কেও আগ্রহী নয়। এই ঘটনায় ত্রিভুজ প্রেমের এক ভয়াবহ পরিণতি সামনে এসেছে, যা জনমনে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।