মেঘালয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। মূল অভিযুক্ত সোনম বুদ্ধিধারী হলেও, ছক কষতে সে কাঁচা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন এক পুলিশ কর্তা। সোমবার উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে সোনমকে গ্রেফতারের পর এই তথ্য জানা যায়। নিখোঁজ হওয়ার পর সে নিজেই পরিবারকে ফোন করে নিজের ঠিকানা জানায়, যার সূত্র ধরে পুলিশ সেখানে পৌঁছে যায় এবং সোনম আত্মসমর্পণ করে।

পুলিশের কাছে সোনম তার বিয়ে থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত সব কথাই খুলে বলেছে। তবে, ঘটনার সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করার আগেও সে তদন্তের মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করেছিল। মঙ্গলবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ADG আইন-শৃঙ্খলা অমিতাভ যশ জানান, সোনম পুলিশের সামনে নিজেকে পরিস্থিতির শিকার এবং নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল।

অমিতাভ যশ বলেন, “গাজিপুরে তাকে মাদক খাইয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে সে বারবার আমাদের জানায়। নিজেকে কার্যত পরিস্থিতির শিকার হিসাবেই তুলে ধরতে চেয়েছিল সোনম। পুলিশ তার কাছে পৌঁছে যাবে জেনেও নিজের পরিবারকে ফোন করেছিল সে। ইতিমধ্যেই তাকে প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।”

ADG আরও যোগ করেন, “সোনম পরিকল্পনা ভালো মতো কষতে পারেনি। ওর পুলিশি জেরা সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না। ভেবেছিল সহজেই আমাদের ফাঁকি দিয়ে দেবে। কিন্তু পারেনি। মেঘালয় পুলিশ অসম্ভব ভালো তদন্ত চালিয়েছে। যদি ওদের কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, আমরা সবসময়ই পাশে রয়েছি।”

উল্লেখ্য, পুলিশি জেরায় সোনম জানিয়েছে, অফিসেরই এক জুনিয়রের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যার নাম রাজ কুশওয়াহা। ওই রাজের জন্য স্বামী রাজাকে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সোনম। এমনকি, সে আরও জানিয়েছে যে প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। এই ঘটনায় আরও গভীরে তদন্ত চলছে।