OMG! ফুচকা খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি শিশু-মহিলা, গুরুতর অসুস্থ ১৫ জন

ফুচকা! এই নামটা শুনলেই জিভে জল আসাটা স্বাভাবিক। টক-ঝাল আলুর পুর আর টক তেঁতুল জলের সেই স্বর্গীয় স্বাদ কে-ই বা ছাড়তে চায়? কিন্তু ইদের পরের দিন আরামবাগের কেশবপুরে সেই ফুচকা ভোজনই ডেকে এনেছে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। রবিবার বিকেলে মনের সাধ মিটিয়ে ফুচকা খাওয়ার পর থেকেই পেট খারাপ, অসহ্য যন্ত্রণা আর পাতলা পায়খানার সমস্যায় ভুগছেন গ্রামের শিশু ও মহিলারা। সোমবার সকালে তাদের মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এবং এলাকায় পৌঁছেছে মেডিক্যাল টিম।
ইদের ছুটি শেষ হলেও তার রেশ কাটেনি এখনও। বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের আনাগোনা, খাওয়াদাওয়া চলছে। এমন এক আনন্দঘন পরিবেশেই রবিবার বিকেলে গ্রামে এসেছিল একজন ফুচকাওয়ালা। আট থেকে আশি, সবাই ভিড় জমিয়েছিলেন তার ফুচকার দোকানে। মনের আশ মিটিয়ে চলে ফুচকা-ভোজন। কিন্তু সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ফুচকা খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুরু হয় পেটের যন্ত্রণা। সঙ্গে বমি এবং পাতলা পায়খানার উপসর্গ। সূত্রের খবর, প্রায় ২০ থেকে ২২ জন এই অসুস্থতার শিকার হয়েছেন।
সোমবার সকালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে অসুস্থরা একে একে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভিড় করেন। তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন নন্দী জানান, “সবাই খুশি মনে ফুচকা খেয়েছিলাম। কিন্তু এমনটা হবে কেউ ভাবতে পারেনি। ফুচকা খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই পেট ব্যথা শুরু হয়। সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শিশু আর মহিলারাই।”
প্রশাসনের পদক্ষেপ: মেডিক্যাল টিম ও স্থিতিশীল পরিস্থিতি
ঘটনার খবর পেয়ে মলয়পুর ব্লক থেকে দ্রুত একটি মেডিক্যাল টিম গ্রামে পাঠানো হয়েছে। হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলিক বলেন, “১৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে শুনেছি। তাদের মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে।”
এই ঘটনা ফুচকার মতো জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুডের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলে দিল। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইদের আনন্দের পর এই ফুচকা-কাণ্ড কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মনে এক তিক্ত অভিজ্ঞতা রেখে গেল।