“পুলিশের মুখে থুতু ছেটালেই বেধড়ক মার!”-বিক্ষোভকারী অভিবাসীদের হুমকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ডের মোতায়েন, বেআইনি অভিবাসীদের ধরপাকড়কে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। অভিবাসী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ অফিসারদের গায়ে থুতু ছিটানোর অভিযোগ তুলে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, “তোমরা থুতু ছেটালে আমরা পাল্টা মারব!”

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গভিন নিউসম জানিয়েছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসের তিনটি অঞ্চলে প্রায় ৩০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মূলত লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ওয়েস্টউডের বিভিন্ন সরকারি ভবনের সামনে তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, অভিবাসন দফতরের আধিকারিকদের কাজে বাধা দিলে তার ফল ভালো হবে না।

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প অত্যন্ত কঠোর ভাষায় মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “এটাই এখন ওদের নয়া ট্রেন্ড। ওরা পুলিশ এবং সেনার গায়ে থুতু ছেটাচ্ছে। আমি শুধু একটাই ছোট কথা বলতে চাই, ওরা থুতু ছেটালেই আমরা মারব। ফলে খবরদার, কেউ যেন এই দুঃসাহস না দেখায়। কোনো পুলিশ কিংবা সেনার মুখে থুতু ছেটানো হলে তার ফল কিন্তু ভালো হবে না।” ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে।

ধরপাকড়ের প্রতিবাদে জোরালো বিক্ষোভ
উল্লেখ্য, আমেরিকা থেকে বেআইনি অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে ট্রাম্প প্রশাসন নিরন্তর তৎপর। গত কয়েক দিনে লস অ্যাঞ্জেলেস সহ ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন দফতরের আধিকারিকেরা অভিযান চালিয়ে অনেককে গ্রেপ্তার করেছেন। শুক্রবার থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত অভিবাসন দফতরের এই গ্রেপ্তারির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৮ জনে। এই ধরপাকড়ের প্রতিবাদে লস অ্যাঞ্জেলেসে ক্রমশ জোরালো বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

বিক্ষোভের তীব্রতা বিবেচনা করে, হোয়াইট হাউস লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা এই পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝায়। ট্রাম্পের ‘থুতুর বদলা মার’ হুঁশিয়ারি এবং ন্যাশনাল গার্ডের উপস্থিতি, অভিবাসন নীতিকে কেন্দ্র করে আমেরিকায় চলমান উত্তেজনাকে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।