হানিমুনে গিয়ে নিজের হাতে স্বামীকে খুন? গ্রেফতার সেই তরুণী, মেঘালয়-কাণ্ডে নয়া মোড়

মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ইন্দোরের দম্পতি রাজা রঘুবংশী ও সোনম রঘুবংশীর ঘটনায় অবশেষে নাটকীয় মোড় এল। পাহাড়ে রাজার মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে নিখোঁজ থাকা স্ত্রী সোনমকে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে মেঘালয় পুলিশ, যার ফলে রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনের পথ প্রশস্ত হলো।

গাজিপুরের অতিরিক্ত এসপি জ্ঞানেন্দ্র প্রসাদ সোনমের গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেছেন। ১৭ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর সোনমকে গাজিপুরের একটি ধাবায় বিষণ্ণ অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। তবে, ঘটনার বিষয়ে তিনি এখনও কোনো তথ্য দেননি। গাজিপুর পুলিশ ইন্দোর পুলিশকে সোনমের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানিয়েছে এবং ইন্দোর পুলিশ তাকে হেফাজতে নিতে গাজিপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা এই মামলায় পুলিশের সাফল্যের জন্য ট্যুইট করে মেঘালয় পুলিশের প্রশংসা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, ইন্দোরের রাজা হত্যা মামলায় মধ্যপ্রদেশের ৩ জন আক্রমণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মহিলা (সোনম) আত্মসমর্পণ করেছেন এবং অন্য একজন আক্রমণকারীকে ধরার অভিযান এখনও চলছে।

এদিকে, মেঘালয়ের ডিজিপি আই নোংরাং এই মামলায় একটি বিস্তারিত বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, ইন্দোরের ওই ব্যক্তির হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিজিপি আরও নিশ্চিত করেছেন যে, সোনমের কোনো আঘাত লাগেনি এবং তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। বর্তমানে পুলিশ তাকে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের ওয়ান স্টপ সেন্টারে রেখেছে।

ইন্দোরের গোবিন্দ কলোনির বাসিন্দা সোনম রঘুবংশী, যিনি বি.কম পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন, গত ১১ মে হিন্দু রীতি মেনে রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর নবদম্পতি মধুচন্দ্রিমার জন্য শিলং যান। প্রাথমিকভাবে তারা কামাখ্যা দেবীর দর্শনে যান এবং সেখান থেকে শিলং পৌঁছান। এরপরই তারা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। পরবর্তীতে পুলিশ একটি খাদ থেকে রাজার মৃতদেহ উদ্ধার করে।

এই ঘটনা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল এবং রাজার মৃত্যু ঘিরে নানান প্রশ্ন উঠেছিল। সোনমের গ্রেপ্তারের পর এবং তিন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আটকের মাধ্যমে এখন এই মামলার জট খুলতে শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই রাজা রঘুবংশীর মৃত্যুর নেপথ্যে থাকা সম্পূর্ণ রহস্য উন্মোচিত হবে।