‘সিঁদুরের বদলা রক্ত’, আমেরিকায় অপারেশন সিঁদুর-এর গুরুত্ব বর্ণনা থারুরের

কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার বদলা নিতে ভারত পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছে। এই অভিযানে গুনে গুনে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। ওয়াশিংটনে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে কড়া আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেছেন, মুছে দেওয়া সিঁদুরের প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে রক্তের মাধ্যমে।
বিশ্বমঞ্চে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র গুরুত্ব বর্ণনা
পাকিস্তানের সন্ত্রাসে প্রত্যক্ষ মদত এবং সেই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর গুরুত্ব বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে ভারত থেকে বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধি দল পাঠানো হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে, শশী থারুরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থান করছে। সেখানেই ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক এবং বৈদেশিক নীতি পর্যবেক্ষকদের সম্মুখীন হয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিতে দেখা যায় এই কংগ্রেস সাংসদকে।
সার্থক হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামকরণ: থারুর
শশী থারুর মনে করেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামটি যথার্থ হয়েছে। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, হিন্দু ধর্মে বিবাহিত মহিলারা সিঁথিতে সিঁদুর পরেন এবং কিছু অহিন্দু মহিলাও সাজসজ্জার জন্য তা পরেন। কিন্তু হিন্দু মহিলারা বিয়ের পর থেকে প্রতিদিন সিঁদুর পরেন। জঙ্গিরা নৃশংসভাবে ২৬ জন মহিলার সিঁথির সিঁদুর মুছে দিয়েছে, যাদের মধ্যে একজন খ্রিস্টানও ছিলেন।
‘সিঁদুরের বদলা রক্ত’: থারুর
সাংসদ থারুর আরও বলেন, সেই কারণেই সিঁদুরের প্রতিশোধ নিতে এই অপারেশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, সিঁদুরের রঙ রক্তের রঙের থেকে খুব একটা আলাদা নয়। উপরন্তু হিন্দিতে একটি প্রচলিত কথা রয়েছে, ‘রক্তের বদলে রক্ত’। এখানে সেটা ‘সিঁদুরের বদলা রক্ত’।
উল্লেখ্য, শশী থারুরের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য, ভুবনেশ্বর কলিতা, শশাঙ্ক মণি ত্রিপাঠী, এলজেপির শাম্ভবী চৌধুরী, টিডিপি সাংসদ জিএম হরিশ বালাযোগী, জেএমএম সাংসদ সরফরাজ আহমেদ, শিবসেনার রাজ্যসভা সাংসদ মিলিন্দ দেওরা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত তারাঞ্জিত সিং। এই প্রতিনিধি দলের বিশ্বজুড়ে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করার এই প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক মহলে কতটা প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।