RCB’র উল্লাসের আড়ালে কর্ণাটকে ভয়ঙ্কর ডাকাতি! কানারা ব্যাঙ্কে ‘কালো যাদু’ করে ৫৯ কেজি সোনা লুট

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) বিজয়োৎসব এবং পরবর্তী পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে শোরগোল চলছে, ঠিক সেই সময়েই কর্ণাটক থেকে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর। কর্ণাটকের কানারা ব্যাঙ্কে সংঘটিত হয়েছে এক ভয়াবহ ডাকাতি, যেখানে দুষ্কৃতকারীরা প্রায় ৫৯ কেজি সোনা লুট করেছে, যার আনুমানিক মূল্য ৫৩.২৬ কোটি টাকা। এছাড়াও, ব্যাঙ্ক থেকে ৫.২০ লক্ষ টাকা নগদ লুট করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

কর্ণাটকের মানাগুলি টাউনের কানারা ব্যাঙ্কেই এই লোমহর্ষক ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, গত ২৫ মে এই ভয়াবহ লুট চালানো হয়। এরপর ২৬ মে মানাগুলি কানারা ব্যাঙ্কের ম্যানেজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

জানা গেছে, দুষ্কৃতকারীরা ব্যাঙ্কের ভল্টের যে লকারে সোনা রাখা ছিল, সেটিকেই নিশানা করে। ভরি ভরি সোনার গয়না সেই লকার থেকেই লুট করে পালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই ডাকাতির দলে ৬ থেকে ৮ জন সদস্য ছিল। এই দলটিই ব্যাঙ্কে ঢুকে অপারেশন চালিয়ে চম্পট দেয়।

‘কালো জাদু’র রহস্য?
আশ্চর্যের বিষয় হলো, ব্যাঙ্কের যে জানলাটি ভেঙে দুষ্কৃতকারীরা প্রবেশ করেছিল, সেখানে একটি কালো রঙের পুতুল ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি কালো জাদু করে ব্যাঙ্কে ডাকাতি করার একটি ইঙ্গিত। তবে, তদন্তের প্রকৃত গতি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যই দুষ্কৃতকারীরা পরিকল্পিতভাবে ওই ভাঙা কালো পুতুলটি জানলার কাছে রেখেছিল বলেও মনে করছে পুলিশ। প্রশাসনের কর্মীদের নজর যাতে কালো জাদুতেই আটকে থাকে এবং মূল তদন্ত ব্যাহত হয়, সেই উদ্দেশ্যেই এই কৌশল অবলম্বন করা হতে পারে বলে তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন।

এই বিশাল অঙ্কের সোনা চুরির ঘটনায় গ্রাহকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। যেহেতু এই সোনা গ্রাহকদের গোল্ড লোনের বিপরীতে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ছিল, তাই ব্যাঙ্ক কীভাবে তাদের সোনা ফেরত দেবে, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পুলিশ এখন এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার তদন্তে নেমেছে, এবং দ্রুত দুষ্কৃতকারীদের ধরতে মরিয়া।