গরমের ছুটি শেষ, তবে গরম তো কমেনি, স্কুলে স্কুলে দেওয়া হলো নয়া নোটিস

তীব্র গরমে দক্ষিণবঙ্গবাসীর নাভিশ্বাস উঠছে। গরমের ছুটি শেষে স্কুল খুলতেই তাই একাধিক জেলায় ফিরছে মর্নিং স্কুল ব্যবস্থা। পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া— এই তিনটি জেলায় জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, ৪ তারিখ (বুধবার) থেকে জেলার সমস্ত প্রাথমিক ও জুনিয়র বেসিক স্কুলগুলিতে সকালে পঠনপাঠন হবে।

গরমের ছুটি শেষে স্কুল চালু হলেও, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন জায়গায় পড়ুয়াদের উপস্থিতি কমে গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্লাস করা ছোটদের জন্য কষ্টকর হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে কচিকাঁচাদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদগুলি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত স্কুল চলবে। শুধু শনিবার, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত স্কুল খোলা থাকবে। এই নির্দেশিকা ৪ তারিখ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিন বিক্ষিপ্তভাবে অতি হালকা বৃষ্টি হতে পারে কয়েকটি জেলায়। তবে, মোটের উপর অস্বস্তিকর গরম থেকে এখনই রেহাই নেই দক্ষিণবঙ্গবাসীর। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে গরমের সঙ্গে থাকবে উচ্চ আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও।

মাঝে মধ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে গরমের দাপট মোটেও কমেনি, উল্টে ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি আরও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ছোট্ট পড়ুয়ারা যাতে কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যায় না পড়ে, সে কথা মাথায় রেখেই জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের এই মর্নিং স্কুলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অভিভাবক মহল।

গরমের দাপট কবে কমবে এবং দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা ঢুকবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।