আরব সাগরে গভীর নিম্নচাপের সতর্কতা, কোথায় কোথায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর?

সময়ের আগেই ভারতে বর্ষার আগমন ঘটতে চলেছে! সাধারণত পয়লা জুন কেরলে বর্ষা এলেও, এবার আরব সাগরে দানা বাঁধা একটি গভীর নিম্নচাপের টানে মাত্র ৪ দিনের মধ্যেই মৌসুমী বায়ু ভারতের মূল ভূখণ্ডে পা রাখছে। শুধু তাই নয়, আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী চার দিনের মধ্যেই উত্তর-পূর্ব ভারতেও প্রবেশ করবে বর্ষা। মে মাসের শেষ নাগাদ বঙ্গোপসাগরেও একটি নিম্নচাপ তৈরির ইঙ্গিত মিলেছে, যা আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে আরও জটিল করে তুলছে।
ইতিমধ্যেই বর্ষার আগাম প্রভাব টের পাচ্ছে মুম্বই ও গোয়ার মতো শহরগুলি, যেখানে অকাল বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত।
রাজ্যজুড়ে আবহাওয়ার চিত্র:
দক্ষিণবঙ্গ: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলার আকাশ আজ আংশিক মেঘলা থাকবে। কিছু কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি ঝড়-বৃষ্টির দাপট দেখা যেতে পারে। এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি আগামী রবি ও সোমবার পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বিশেষ করে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।
উত্তরবঙ্গ: অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের জন্য রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। আজ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়ার কারণ:
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, একটি পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা মধ্য পাকিস্তান থেকে উত্তর বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গেছে। এছাড়াও, হরিয়ানা, রাজস্থান, অসম এবং উত্তর বাংলাদেশে সক্রিয় রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এই সম্মিলিত আবহাওয়ার পরিস্থিতিই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঝড়-বৃষ্টির কারণ।
শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতার আবহাওয়ার হালচাল:
আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের কাছাকাছি। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫৪ থেকে ৯১ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে, যা অস্বস্তিকর আবহাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।