হাত পেতে ঘুষ নিচ্ছে ‘গুণধর’ সিভিক, ভিডিও ভাইরাল হতেই চরম অবস্থা যুবকের!

ট্রাফিক পোস্টের ভিতরে বাইক চালকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে কর্তব্যরত এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কানু রায় নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার জলপাইগুড়ি সদর ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। শুক্রবার শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে নাকা চেকিং চলার সময় কাগজপত্রবিহীন একটি বাইককে আটকান তিনি। অভিযোগ, নিয়ম মেনে জরিমানা করার বদলে ওই বাইক চালকের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ চেয়ে নেন কানু রায় এবং সকলের সামনেই হাত পেতে সেই টাকা নেন। এই গোটা ঘটনার ভিডিও কেউ গোপনে রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেন।

ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে এই ধরনের ঘটনা শুধু জলপাইগুড়িতে নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই ঘটছে। এর পেছনে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের উদাসীনতা রয়েছে, তেমনই পুলিশের একাংশের কর্তব্যচ্যুতির প্রবণতাও বাড়ছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। এই পরিস্থিতিতে ঘুষ নেওয়ার ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।

ভিডিওটি পুলিশ কর্তাদের নজরে আসার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার কানু রায়কে অবিলম্বে কাজ থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ট্রাফিক পোস্টে সেই সময় কর্তব্যরত এক এএসআইকেও ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। পুলিশ সুপার বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করছে এবং এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পাশাপাশি ডিউটিতে থাকা পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে।