স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া দপ্তর! অস্বস্তিকর হাঁসফাঁস গরম থেকে মুক্তি, ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী

তীব্র গরম এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় হাঁসফাঁস করা বঙ্গবাসীর জন্য অবশেষে স্বস্তির বার্তা দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ (বৃহস্পতিবার) থেকেই দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসতে চলেছে এবং কালবৈশাখী ও বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার এবং আগামীকাল শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই সময়ে দমকা হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আগামীকাল শুক্রবার ঝড়বৃষ্টির দাপট আরও বাড়বে এবং দক্ষিণবঙ্গের আটটি জেলায় কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং দুই বর্ধমান। শনিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু তার স্বাভাবিক সময়ের আগেই সক্রিয় হয়েছে। গত ১৩ মে এটি নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করেছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এটি আন্দামান সাগর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। মৌসুমী বায়ুর এই আগাম সক্রিয়তা রাজ্যের আবহাওয়ায় পরিবর্তন আনতে সাহায্য করছে এবং আগাম বর্ষার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। সেখানে প্রায় সমস্ত জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় আগামী শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া দপ্তর বিশেষ করে শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং ও উত্তর দিনাজপুর জেলায় অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
সব মিলিয়ে, আগামী কয়েক দিনে রাজ্যের আবহাওয়া পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হতে চলেছে। দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি এবং উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, যা তীব্র গ্রীষ্মের দাপট থেকে কিছুটা হলেও রেহাই দেবে।