ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (IPL) ২০২৫-এর ফাইনাল ম্যাচটি সম্ভবত এবারও আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হতে চলেছে। বিগত চার বছরে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আমেদাবাদ আইপিএল ফাইনালের মতো বড় ইভেন্টের সাক্ষী থাকতে চলেছে বলে ক্রীড়া মহলে জোর জল্পনা চলছে।

এর আগে ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো আমেদাবাদে আইপিএল ফাইনাল হয়েছিল, যেখানে গুজরাট টাইটান্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালেও এখানেই ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। একটি সর্বভারতীয় ক্রীড়া সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আইপিএল ফাইনালের আসর আমেদাবাদেই বসতে চলেছে এবং প্লে অফের ম্যাচগুলি মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হতে পারে। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) এখনো প্লে অফ এবং ফাইনালের ভেন্যু সরকারিভাবে ঘোষণা করেনি।

আগের সূচি অনুযায়ী, আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর ম্যাচ দুটি হায়দরাবাদে এবং দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ইডেন গার্ডেন্সে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জল্পনা চলছে যে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ এবং এই সময়ের আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে হায়দরাবাদ ও ইডেন গার্ডেন্স ফাইনাল ও প্লে অফ আয়োজনের তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে।

বিসিসিআই ফাইনালের জন্য এমন একটি স্টেডিয়ামকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে যেখানে দর্শকাসন সংখ্যা অত্যন্ত বেশি। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা ১ লক্ষ ৩২ হাজার, যা এই প্রয়োজন মেটানোর জন্য আদর্শ। অন্যদিকে, প্রথম কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর ম্যাচ দুটি মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, তবে ওই সময় মুম্বইয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় বিসিসিআই বিকল্প হিসেবে প্লে অফের ম্যাচগুলি উত্তর ভারতের দিল্লি, জয়পুর বা লখনউয়ের মতো শহরগুলিতে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইডেনে আর কোনো ম্যাচ বাকি নেই, তাদের বাকি দুটি ম্যাচই অ্যাওয়ে। সেকারণেই ইডেন গার্ডেন্সকে সম্ভবত ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে রাখা হচ্ছে না। একইভাবে, হায়দরাবাদ সানরাইজার্সের একটি হোম ম্যাচ বাকি থাকলেও তারা ইতিমধ্যে প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে, তাই রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামকেও ফাইনাল বা প্লে অফের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

সব মিলিয়ে, যা পরিস্থিতি তাতে ২০১৫ সালের পর আইপিএল ফাইনাল আয়োজনের সুযোগ এবারও ইডেন গার্ডেন্সের হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত এখনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে জল্পনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।