“এ বার মুদি দোকানেই মিলবে ওষুধপত্র?”-শীঘ্রই আসছে নতুন নিয়ম, জেনেনিন বিস্তারিত

সাধারণ সর্দি-কাশি বা ছোটখাটো ব্যথার জন্য হয়তো আর আপনাকে দ্রুত ওষুধের দোকানে ছুটতে হবে না। আপনার পাড়ার মুদি দোকানেই খুব শীঘ্রই মিলতে পারে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় ঔষধপত্র। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে, ড্রাগস টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি বোর্ড (DTAB) সম্প্রতি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছে, যার ফলে নন-প্রেসক্রিপশন মেডিসিন বা চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেনা যায় এমন কিছু ওষুধ সাধারণ দোকানেও বিক্রি করা যাবে।

‘মিন্ট’ সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই নতুন নিয়ম শীঘ্রই কার্যকর হতে পারে। কাফ সিরাপ, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ক্রিম এবং ব্যথা কমানোর কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ, যেগুলোর জন্য সাধারণত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন হয় না, সেগুলো এবার সাধারণ মুদি দোকানেও বিক্রি করা যাবে। নন-প্রেসক্রিপশন মেডিসিনগুলোকে জনসাধারণের জন্য আরও সহজলভ্য করার লক্ষ্যেই ড্রাগস টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি বোর্ড গত এপ্রিল মাসে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মিন্ট-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রান্তিক বা প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে যেখানে ওষুধের দোকান সহজে পাওয়া যায় না, সেখানে জরুরি ওষুধ দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

‘নন-প্রেসক্রিপশন ড্রাগ’ বা OTC কী?

ভারতে এমন অনেক ঔষধপত্র আছে যা কেনার জন্য চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন হয় না। কিছু নির্দিষ্ট ধরনের পেইন-কিলার, সর্দি-কাশির সিরাপ, অ্যান্টি-অ্যালার্জিক এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ এই শ্রেণির অন্তর্গত। ওষুধের পরিভাষায় এগুলোকে ‘ওভার দি কাউন্টার’ বা ওটিসি প্রোডাক্টও বলা হয়। মিন্ট-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরনের ওটিসি ওষুধ এবার থেকে সাধারণ মুদি দোকান বা অন্যান্য দোকানেও রাখা যাবে।

তবে এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য প্রস্তাব করা হয়েছে। ওষুধের দোকানে যেমন একজন রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট থাকা বাধ্যতামূলক, মুদি দোকানে তেমন ফার্মাসিস্ট রাখার প্রয়োজন হবে না। পরিবর্তে, এই ওষুধগুলো বিক্রির জন্য দোকানদারকে সরকারের থেকে একটি নির্দিষ্ট লাইসেন্স নিতে হবে।

এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন বাকি

তবে মনে রাখতে হবে, এই সংক্রান্ত কোনো অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি এখনও সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা হয়নি। সূত্র মারফত খবর পাওয়া গেছে, ওটিসি ওষুধের তালিকায় কোন কোন ঔষধপত্র অন্তর্ভুক্ত করা হবে, সেই বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে পর্যালোচনা চলছে। ওটিসি ওষুধের সংজ্ঞা এবং এই ওষুধ বিক্রির শর্তগুলোতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে কিনা, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে এবং ওটিসি ওষুধ সংক্রান্ত একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন জারি করার পরেই সরকারের পক্ষ থেকে এই নতুন নিয়মে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই নিয়ম কার্যকর হলে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে জরুরি এবং সহজলভ্য ঔষধপত্র আরও দ্রুত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।