“পাকিস্তানিদের চিহ্নিত করে তাড়াতে হবে”-DM অফিসে ধর্নায় বসলেন বিজেপির ৪ বিধায়ক

পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী পাকিস্তানি নাগরিকদের অবিলম্বে দেশ থেকে বহিষ্কার করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন কোচবিহারের চারজন বিজেপি বিধায়ক। এই দাবিতে তাঁরা সোমবার কোচবিহারের জেলা শাসকের কার্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসেন। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে সমস্ত পাকিস্তানি নাগরিক অবৈধভাবে বা ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও বসবাস করছেন, তাঁদের দ্রুত চিহ্নিত করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায়, নিখিল রঞ্জন দে, বরেনচন্দ্র বর্মন এবং সুশীল বর্মন এদিন এই সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য জেলা শাসকের দপ্তরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, জেলা শাসক তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি। এর প্রতিবাদে বিধায়করা জেলা শাসকের অফিসের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন এবং ঘোষণা করেন যে, যতক্ষণ না জেলা শাসক এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করছেন, ততক্ষণ এই ধর্না চলবে। এই ঘটনা নিয়ে দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি, অথচ জেলা শাসক আমাদের সঙ্গে দেখা করতে ভয় পাচ্ছেন। এটা আসলে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থারই অবমাননা।”

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, গত ২৫ এপ্রিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা পাঠান। তিনি বলেন, প্রতিটি রাজ্যকে তাদের এলাকায় থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে এবং তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করতে হবে।

কেন্দ্রের এই নির্দেশের পটভূমি ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। এই হামলার পর ভারত সরকার পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পাকিস্তান থেকে নতুন করে কাউকে ভিসা দেওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও, সার্ক দেশগুলোর জন্য পাকিস্তানি নাগরিকদের যে ‘এসভিইএস’ (SVES) নামের বিশেষ ভিসা দেওয়া হত, সেটিও বাতিল করা হয়েছে। যাঁরা চিকিৎসার জন্য ভিসায় ভারতে এসেছিলেন, তাঁদেরও গত ২৯ এপ্রিলের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্র সরকারের এমন কড়া অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার রাজ্যে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের দ্রুত চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানোর দাবিতে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা।

এই নতুন উপস্থাপনাটি মূল লেখার সমস্ত তথ্য এবং ভাব বজায় রেখেছে, কিন্তু বাক্য গঠন এবং শব্দচয়নে ভিন্নতা আনা হয়েছে।