কাজপাগল বিক্রম, ‘দুর্গাপুর জংশন’-এর পুলিশ অফিসার ও ইন্ডাস্ট্রির বিতর্ক

তাকে নাকি কাজ ছাড়া ভাবাই যায় না। দিনের পর দিন কাজ করে বাড়িতে ফিরেও নাকি রাত ১টা পর্যন্ত কাজের আলোচনা চলে ফোনেই। সামনেই মুক্তি পাচ্ছে তার নতুন ছবি ‘দুর্গাপুর জংশন’। এই ছবিতে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে। যদিও প্রথমে এমনটা ঠিক ছিল না। ছবির প্রাথমিক ভাবনায় বিক্রমকে সাংবাদিক আর স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে পুলিশের চরিত্রে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু পরে দুজনের সম্মতিতেই চরিত্রবদল হয়। কেমন ছিল তার এই নতুন চরিত্রের প্রস্তুতি? সম্প্রতি টলিউডে ঘটে যাওয়া ঠাকুরপুকুরকাণ্ড নিয়েই বা কী ভাবছেন তিনি? একবার কোনো তারকার নামের পাশে কোনো বিতর্ক জড়িয়ে গেলে তা থেকে বেরিয়ে আসা কতটা কঠিন? আর প্রেম বা বিয়ে নিয়ে endless প্রশ্নের উত্তরেই বা কী বলছেন? এসব নিয়েই এবিপি লাইভের সঙ্গে মন খুলে কথা বলেছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়।
‘দুর্গাপুর জংশন’-এ পুলিশ অফিসারের চরিত্র নিয়ে বিক্রম বলেন, “এটা আমার জন্য একটা একদম অন্যরকম চরিত্র, আর এর মধ্যেই আসল মজাটা লুকিয়ে। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার প্রতিটি চরিত্রে কিছু নতুনত্ব রাখতে, সেটা সংলাপ বলার ধরনে হোক, লুকে হোক বা শরীরী ভাষায়। আমার মনে হয় এতে দর্শক একঘেয়ে হবেন না এবং চরিত্রের প্রতি তাদের নতুন করে ভালো লাগা তৈরি হতে পারে। ‘শেষ পাতা’ থেকে শুরু করে ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’, ‘পারিয়া’, ‘সূর্য’… প্রতিটি ছবিতেই আমি আগের ছবির ইমেজ ভাঙার চেষ্টা করেছি। ‘দুর্গাপুর জংশন’-এও সেই চেষ্টাই করেছি। এখানে আমার চরিত্রটা খুব রুক্ষ, কথায় কথায় গালমন্দ করে, মুখ চলার আগে তার হাত চলে।”
সম্প্রতি ঠাকুরপুকুরকাণ্ড টলিউডে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। কোনো দুর্ঘটনা বা বিতর্কে যখন কোনো অভিনেতা বা পরিচালকের নাম জড়িয়ে যায়, তখন সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফেরা কতটা কঠিন বলে মনে করেন বিক্রম? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা যখন এই পেশায় আসি, তখন এটা জেনেই আসি যে আমাদের কাজ নিয়ে আলোচনা একটু বেশিই হবে। যদি আমরা ব্যাঙ্কে চাকরি করতাম, তাহলে হয়তো আমাদের নিয়ে এত চর্চা হতো না। কিন্তু আমরা তো পাবলিক ফিগার। তাই আমার মনে হয়, আমাদের ভালো কাজগুলোকে যেমন সবাই celebrate করে, তেমনই কোনো খারাপ কিছু হলেও সেটা নিয়ে কথা বলবে। নায়ক-নায়িকাদের সেই সমালোচনা, সেই খারাপ কথাগুলো শোনার এবং সহ্য করার মতো মানসিক শক্তি থাকা উচিত।”