বিধায়কদের ‘মেডিক্যাল বিল’ ফের চর্চায়, চশমার জন্য ৬৫ হাজার! চমকে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী

আবারও রাজ্য বিধানসভার বিধায়কদের ‘মেডিক্যাল বিল’ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের এক তৃণমূল বিধায়ক, যিনি তাঁর জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পরপর তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন, বিধানসভায় একটি চক্ষু চিকিৎসার বিল পেশ করেন। বিলটিতে শুধু চশমা তৈরির খরচ বাবদ ৬৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে!

ঘটনাচক্রে, ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন। বিলটি তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, তিনি নিজেই কৌতূহলবশত বিধায়কের কাছে খরচের পরিমাণ জানতে চান। অঙ্কটি শুনে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।

এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি স্পিকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর বিধায়কদের চক্ষু চিকিৎসার খরচের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে বিধায়কেরা চশমার জন্য সর্বাধিক ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মেডিক্যাল বিল জমা দিতে পারবেন।

শুধু চশমার খরচই নয়, বিধায়কদের অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয়ের ক্ষেত্রেও রাশ টানা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হলে দৈনিক বেড ভাড়া বাবদ খরচ ৮ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিধানসভার সচিবালয় ইতিমধ্যেই এই নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। তবে একইসাথে সাধারণ নাগরিকরা প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে বহু মানুষ সামান্য চিকিৎসার খরচ জোগাতেও হিমশিম খান, সেখানে জনপ্রতিনিধিদের চিকিৎসার বিল কীভাবে এত বিপুল হতে পারে?

এখন দেখার বিষয়, এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বিধায়কদের ‘মেডিক্যাল বিল’-এর অযৌক্তিক ব্যয় কতটা নিয়ন্ত্রণে আসে। বিধানসভার এই পদক্ষেপ স্বচ্ছতা ও আর্থিক সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।