বিশেষ: কোম্পানির থেকে বেতন নেন না এক টাকাও, কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক মুকেশ আম্বানি?

মুকেশ আম্বানি, বিশ্ব অর্থনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, বর্তমানে ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী ৯৬৭০ কোটি ডলারের বিশাল সম্পদের মালিক। এই অংক তাকে বিশ্বের ১১তম ধনী ব্যক্তির আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি কেবল ভারতের নন, সমগ্র এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে সুপরিচিত।
কিন্তু কীভাবে এই অসামান্য সম্পদ তিনি অর্জন করেছেন? আসুন, সেই রহস্যের গভীরে ডুব দেওয়া যাক।
আশ্চর্যজনকভাবে, মুকেশ আম্বানি ২০১৯ সাল থেকে তার সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে কোনো প্রকার বেতন গ্রহণ করেন না। এর আগে, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি বার্ষিক ১৫ কোটি টাকা বেতন নিতেন। কোভিড-১৯ মহামারীর অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে তিনি ২০২০ সাল থেকে বেতন নেওয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেন।
আম্বানির এই বিপুল সম্পদের অন্যতম প্রধান উৎস হলো রিলায়েন্সের শেয়ারের মালিকানা। তিনি রিলায়েন্সের ৪৭.২৯% শেয়ারের একক মালিক। এই বিশাল শেয়ার হোল্ডিংয়ের মাধ্যমে তিনি প্রতি বছর মোটা অঙ্কের লভ্যাংশ অর্জন করেন। শুধু তাই নয়, বাজারের গতিবিধির সাথে তাল মিলিয়ে যখন রিলায়েন্সের শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই তার ব্যক্তিগত সম্পত্তির মূল্যও আকাশচুম্বী হয়।
তবে, আম্বানির আয়ের উৎস কেবল লভ্যাংশ এবং শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তার নিজস্ব একাধিক ব্যবসায়িক উদ্যোগ রয়েছে, যেগুলি থেকেও তিনি নিয়মিতভাবে উল্লেখযোগ্য আয় করেন। বিচক্ষণ বিনিয়োগের মাধ্যমেও তিনি তার সম্পদকে আরও বহুগুণে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন।
সংক্ষেপে, মুকেশ আম্বানি মূলত রিলায়েন্সের বিশাল শেয়ারের মালিকানা, সেই মালিকানা থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ এবং তার অন্যান্য সফল ব্যবসায়িক উদ্যোগ ও কৌশলগত বিনিয়োগের মাধ্যমেই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন। বেতন না নেওয়া সত্ত্বেও, রিলায়েন্সের শেয়ারের ক্রমবর্ধমান বাজারমূল্য তার ব্যক্তিগত সম্পদের ভান্ডারকে প্রতিনিয়ত স্ফীত করছে। তার এই আর্থিক সাম্রাজ্য কেবল তার ব্যবসায়িক দূরদর্শিতাই প্রমাণ করে না, বরং ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতিরও একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।