বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে বাধা! আচমকা ফেরি বন্ধ, ক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ

চারটি বামপন্থী সংগঠনের ডাকে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে মহাসমাবেশ। সকাল থেকেই সিপিআই(এম) সহ বামফ্রন্টের কর্মী-সমর্থকদের ঢল নেমেছে শহরমুখী রাস্তায়। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভিড়। তবে এই পরিস্থিতিতে, রবিবার সকাল থেকেই আচমকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেরি পরিষেবা। এর জেরে ব্রিগেডে যেতে বাধা পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাম কর্মী-সমর্থকরা।

ঠিক কী কারণে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটেছে। যদিও হুগলি নদী জলপথ পরিভ্রমণ সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে গেটে একটি নোটিশ সাঁটানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আজ অর্থাৎ ২০ এপ্রিল ভেসেল মেরামতির কাজ এবং পর্যাপ্ত ভেসেল না থাকার কারণে এই পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি, কর্তৃপক্ষের তরফে যাত্রীদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

কিন্তু এই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ ক্ষুব্ধ বাম কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, ব্রিগেডে জনসমাগম আটকানোর উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাঁরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ বাম কর্মীরা দফায় দফায় অবরোধ ও বিক্ষোভ দেখান। ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় একাধিকবার পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাম কর্মী-সমর্থকরা।

রবিবারের ব্রিগেডে বামেদের বক্তাদের তালিকায় রয়েছেন মহম্মদ সেলিম, অমল হালদার, নিরাপদ সর্দার, অনাদি সাহু, শুখরঞ্জন দে এবং বন্যা টুডু। হাওড়া, হুগলি ছাড়াও দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বামফ্রন্টের কর্মী-সমর্থকরা আসছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই সিপিআই এবং সিপিআই(এম)-এর সদস্য। রাজ্যের বিধানসভা ও লোকসভায় বামফ্রন্টের শূন্য আসনের নিরিখে, তাদের অন্য দলগুলির সাংগঠনিক দুর্বলতা স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে আজকের ব্রিগেড সমাবেশ বাম দলগুলির জন্য কতটা তাৎপর্যপূর্ণ হয়, সেটাই এখন দেখার।