BSF-এর ঘাড়ে বন্দুক রেখে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন মমতা, বললেন…..

মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় শুরু থেকেই কেন্দ্র এবং বিএসএফকে কাঠগড়ায় তুলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়াকফ প্রতিবাদের নামে হামলা চালানো দুষ্কৃতীদের ভয়ে পুলিশকে পালাতে দেখা গেলেও, পরে রাজ্য প্রশাসন বিএসএফের সাহায্য চেয়েছিল। তবে, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই বিএসএফের ঘাড়ে দোষ চাপানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের হামলাকারীদের ‘বিজেপির লোক’ বলে অভিহিত করে বিএসএফের দিকে আঙুল তুললেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গতকাল আমি এএনআই-এর একটি টুইট দেখেছি যেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে যে বাংলাদেশ এর (মুর্শিদাবাদ সহিংসতা) সঙ্গে জড়িত। যদি এটি সত্য হয়, তাহলে এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। সীমান্তের দেখাশোনা করে বিএসএফ, রাজ্য সরকার নয়। কেন বিজেপির লোকদের বাইরে থেকে এসে গোলমাল করতে এবং পালিয়ে যেতে দেওয়া হল?”
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় ১১ এপ্রিল থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। এই হিংসায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে একজন কিশোরও রয়েছে। ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক ছিল না। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। বর্তমানে এলাকায় বিএসএফ টহল দিচ্ছে।
সামশেরগঞ্জের রানিপুরের জাফরাবাদে বাবা-ছেলেকে প্রথমে মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় এবং পরে তাদের বাড়ি ও টোটো জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, পুলিশকে বারবার ফোন করা হলেও তারা ঘটনাস্থলে আসেনি।
১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভায় ভাঙচুর চালানো হয়। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধুলিয়ানের একটি শপিংমলে লুটপাট চলে। ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় এবং বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানের অফিসেও হামলার অভিযোগ ওঠে।
মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে পুলিশ ও বিএসএফ যৌথভাবে এলাকায় টহল দিচ্ছে।