“বাংলাকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চান…?”-মমতার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি তৈরির অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

ওয়াকফ আইন নিয়ে ফের একবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তিনি অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াকফের নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন এবং বাংলাকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চাইছেন। গিরিরাজ সিং আরও বলেন, “ভোটের লোভে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দুদের দেশান্তরী হতে বাধ্য করছেন।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং, ওয়াকফ বিল নিয়ে বাংলা সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বলেন, “বাংলায় বাবা-ছেলেকে ঘরে ঢুকে খুন করা হয়েছে। ভোটের লোভে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত তোলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে বাংলাদেশের মতো করে তুলতে চান এবং ওয়াকফ বোর্ড সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াতে চান। তিনি দরিদ্র মুসলিম সহ দরিদ্র কন্যাদের অধিকার দিতে চান না। যেখানে মোদী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে আমরা তাদের অধিকার নিশ্চিত করব। বাংলায় হিংসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ষড়যন্ত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রী বলছেন যে ঘটনাটি ঘটেছে। মমতা সরকারের মন্ত্রীর এই ধরনের বক্তব্য দেওয়ার জন্য লজ্জিত হওয়া উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের লোভে হিন্দুদের দেশান্তরী হতে বাধ্য করছেন।”
সংবাদমাধ্যমের সামনে গিরিরাজ সিং আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াকফ বিলের নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন এবং পশ্চিমবঙ্গে আক্রমণ চালাচ্ছেন। বাংলার মুর্শিদাবাদে এক বাবা ও ছেলেকে তাদের বাড়ির ভেতরে খুন করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চান। বাংলার হিংসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ষড়যন্ত্র। ভোটের লোভে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দুদের দেশান্তরী হতে বাধ্য করছেন। এখন আমরা বিহারকে বাংলা হতে দেব না।”
বিহার নির্বাচন এবং প্রশান্ত কিশোরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রসঙ্গে গিরিরাজ সিং বলেন, “প্রশান্ত কিশোর বিজেপির সঙ্গে ছিলেন না। তিনি নীতীশ কুমারের সঙ্গে ম্যানেজমেন্টে ছিলেন। বিহারে ২০০ শতাংশ এনডিএ সরকার গঠিত হবে। বিহারের মানুষ রাজনৈতিকভাবে বুদ্ধিমান। আমরা বিহারকে ২০০৫ সালের দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যাব না। এখন আমরা বিহারকে বাংলা হতে দেব না। কারণ তেজস্বী যাদব বলছেন যে আমি যদি আসি, আমি ওয়াকফ বিল সংশোধন করব এবং এটি বাস্তবায়ন করতে দেব না। তাই আমিও বলি, ‘নয় মণ তেলও থাকবে না, রাধাও নাচবে না। বিহারের মানুষ বিহারকে বাংলা হতে দেবে না।”