ভারতের থেকে জাপানের স্টক মার্কেটে হাহাকার, দায়ী ট্রাম্পের এই কঠিন সিদ্ধান্ত!

গত রাতে আমেরিকার বাজার ফ্ল্যাট থাকার পর আজ জাপানের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতন দেখা গিয়েছে। জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক ২.০৯% বা ৯০০ পয়েন্ট কমে দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এছাড়া টপিক্স সূচকেও ২.১৯% হ্রাস দেখা গেছে। এই পতনের ধারা শুধু জাপানেই সীমাবদ্ধ নয়, দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি ১.৭৬% এবং চিনের হ্যাং সেং ০.৪১% কমেছে। চিনের সিএসআই ৩০০ সূচকও ০.২৫% হ্রাস পেয়েছে।
ভারতীয় শেয়ারবাজারেও আজ পতনের ছায়া পড়েছে। সেনসেক্স ৩০০ পয়েন্টের বেশি এবং নিফটি ১০০ পয়েন্ট কমেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কিছুদিনের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে। বিএসই-সেনসেক্সের শীর্ষ ৩০টি স্টকের মধ্যে ১৫টি লোকসানে ছিল, যখন বাকি ১৫টি স্টক কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতীয় বাজারে এই ওঠানামার পেছনে মূল কারণ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতি নিয়ে আশঙ্কা কাজ করছে। এই বিষয়ে পরিস্থিতি এখনও স্পষ্ট নয়, তবে আগামী ২ এপ্রিল পরিস্থিতি কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা
২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত (২৮ মার্চ, ২০২৫) জাপানের শেয়ারবাজার ৯% কমেছে। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারও ৫% এর বেশি হ্রাস পেয়েছে। অন্যান্য বাজারেও রিটার্ন নেতিবাচক দেখা গেছে। তবে ভারতীয় শেয়ারবাজারে এখনও কিছুটা উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আমেরিকার শুল্ক হুমকিতে অটো স্টকগুলিতে ধাক্কা
আমেরিকা অটো সেক্টরে ২৫% শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ার পর অটো স্টকগুলিতে তীব্র পতন দেখা গেছে। আজ মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার শেয়ার ২% এর বেশি কমেছে। এছাড়া অশোক লিলেন এবং বাজাজ অটোর শেয়ারেও নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এই শুল্ক ঘোষণার প্রভাবে বাজারে আজও ভয়ের পরিবেশ বজায় রয়েছে।
বিএসই শেয়ারে অপ্রত্যাশিত উত্থান
ভারতীয় বাজারে যখন বেশিরভাগ শেয়ার চাপে লেনদেন করছে, তখন বিএসই শেয়ারে বিস্ময়কর উত্থান দেখা গেছে। আজ এটি ১৭% এর বেশি বেড়ে ৫৪৮৯ টাকায় পৌঁছেছে।
অন্যান্য শেয়ারে তীব্র পতন
আজ Agis Logistics-এর শেয়ার ৭%, Max Healthcare-এর ৬%, Tata Elxsi-এর ৩% এবং Mahindra & Mahindra-এর শেয়ার ২.৫৮% কমেছে। এই পতন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
পরামর্শ
বাজারের এই অস্থিরতার মধ্যে শেয়ারে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বৈশ্বিক ও স্থানীয় কারণে বাজারে আরও ওঠানামা দেখা যেতে পারে।