বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কে হবে? ৩০ মার্চ হতে পারে নাম ঘোষণা

বিজেপির বর্তমান সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে, এবং এর পর কে দলের নতুন সভাপতি হবেন তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বিজেপি সূত্রের খবর, এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আরএসএস-এর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামী ৩০ মার্চ নাগপুর যাচ্ছেন মোদী, যেখানে বৈঠকের পরেই সভাপতি পদ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা চলছে এমন একজন নেতাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করার ব্যাপারে, যিনি প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ এবং আরএসএসের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখবেন। বিজেপি সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে সভাপতি পদে একাধিক নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
নির্মলা সীতারামণ, ভূপেন্দ্র যাদব, শিবরাজ সিং চৌহান, এবং যোগী আদিত্যনাথ—এই সমস্ত নামই বর্তমানে আলোচনায় রয়েছে। তবে প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই কিছু না কিছু সমস্যা রয়েছে, যা দলের ভিতরে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছে।
নির্মলা সীতারামণের নাম নিয়ে সমস্যা
নির্মলা সীতারামণ, যিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, মোদী এবং শাহের ঘনিষ্ঠ হলেও, যদি তাঁকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়, তবে অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সীতারামণের পদত্যাগ এবং নতুন দায়িত্বের বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ভূপেন্দ্র যাদব: অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ, কিন্তু আরএসএসের তত কাছের নন
ভূপেন্দ্র যাদব, যিনি অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কিন্তু নাগপুরের আরএসএসের তত কাছের নন, তিনি সভাপতি পদে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছেন। তবে আরএসএস তাঁর বিষয়ে কোনও বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেনি, যার কারণে এই নামটি ঝুলে রয়েছে।
শিবরাজ সিং চৌহান: অমিত শাহের কাছের মানুষ, তবে প্রশ্ন উঠেছে নেতৃত্বের উপযোগিতা নিয়ে
মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান একসময় বিজেপির সভাপতি পদের দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর তিনি অমিত শাহের কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন। আরএসএসের ঘনিষ্ঠ হলেও তাঁর নেতা হিসেবে ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
যোগী আদিত্যনাথ: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, তবে মোদী-শাহের সঙ্গে সম্পর্ক অম্লমধুর
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নামও সম্প্রতি উঠে এসেছে। তবে মোদী-শাহের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তেমন মধুর নয়, যদিও তিনি আরএসএসের ঘনিষ্ঠ। যোগী আদিত্যনাথ সফলভাবে উত্তরপ্রদেশে দুবার ক্ষমতায় আসার পর তৃতীয় বার বিজয়ী হলে ২০২৯ সালে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হতে পারেন। তাই তাঁর সভাপতি পদের দৌড়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তবে, এই সব আলোচনা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি এবং আগামী দিনগুলোতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদ নিয়ে আরও অনেক জল্পনা চলবে।