OMG! শিঙাড়ার চাটনি না দেওয়ায় দোকানের কর্মীকে চড়, অভিযোগ TMC কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

বীরভূমের দুবরাজপুরে শিঙাড়া খাওয়ার জন্য বাড়তি চাটনি চাওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কাউন্সিলর শেখ নাজিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি এক তেলেভাজার দোকানের কর্মচারীকে থাপ্পড় মারেন। ঘটনাটি ঘটেছে শ্মশান কালী মন্দিরের কাছে, যা এলাকার মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান, যার ফলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে পদক্ষেপ নেয়।

ঘটনার বিবরণ:

গত বৃহস্পতিবার রাতে, দুবরাজপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শেখ নাজিরউদ্দিন শ্মশান কালী মন্দিরের কাছে এক তেলেভাজার দোকানে শিঙাড়া কিনতে যান। অভিযোগ, শিঙাড়া কেনার পর তিনি অতিরিক্ত এক প্যাকেট চাটনি চান। দোকানের কর্মচারী জিতেন্দ্রনাথ সাহা তাকে তা দিতে অস্বীকার করেন। এর পরেই, কাউন্সিলর শেখ নাজিরউদ্দিন দোকানের কর্মচারীকে সপাটে চড় মেরে ফেলেন, যা এতটাই তীব্র ছিল যে, জিতেন্দ্রনাথ মাটিতে পড়ে যান।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ:

কর্মচারীকে মারধরের ঘটনা জানাজানি হলে, স্থানীয় বাসিন্দারা রেগে গিয়ে দুবরাজপুর থানার মোড়ের কাছে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। তারা অভিযুক্ত কাউন্সিলরের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। খবর পেয়ে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর, দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা, জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়, দুবরাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পান্ডে এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

পুলিশের হস্তক্ষেপ এবং ক্ষমা প্রার্থনা:

বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে, পুলিশ তৃণমূল কাউন্সিলর শেখ নাজিরউদ্দিনকে আটক করে। তবে, তিনি পরে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে সবার সামনে আশ্বাস দিলে, কয়েক ঘণ্টা পর জাতীয় সড়কের অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক পদক্ষেপ:

এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও, প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ জানায়, কাউন্সিলর শেখ নাজিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, তবে তার ক্ষমা চাওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা শান্ত হয়েছেন।

এই ঘটনায় শিঙাড়া এবং চাটনি নিয়ে এক সাধারণ ঘটনার রূপ নিয়ে আলোচনায় আসে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং স্থানীয় জনগণের ক্ষোভের বিষয়টি, যা ভবিষ্যতে এমন ধরনের ঘটনা রোধের জন্য প্রশাসনের আরও সচেতনতা সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।