অমিত শাহর ‘২০০ পার’ টার্গেট কমিয়ে শুভেন্দু বললেন ১৮০!-শুভেন্দুকে কটাক্ষ তৃণমূলের

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্য ছিল ২০০ আসন জয়। কিন্তু ফলাফলে তারা পেয়েছিল মাত্র ৭৭টি আসন। চার বছর পর এখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬০-এর আশেপাশে। এই পরিস্থিতিতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবার লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ১৮০ আসন নির্ধারণ করেছেন। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে এক সভায় তিনি বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি আসনেই আমরা জিতব। রাজ্যে অন্তত ১৮০টি আসনে জয় পাব। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করব।”
২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপির ‘দুশো পার’ স্লোগান ব্যাপক আলোচিত হলেও, তারা মাত্র ৭৭টি আসনে জয় পায়। এরপর থেকে দলটির বিধায়ক সংখ্যা ক্রমাগত কমছে। বর্তমানে তাদের বিধায়ক সংখ্যা ৬০-এর কাছাকাছি। এই পটভূমিতে শুভেন্দু অধিকারী এবার ২০২৬ সালের নির্বাচনে ১৮০টি আসন জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেস এই লক্ষ্য নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছে, “বিজেপি ৪০টি আসন পেরোতে পারবে কি না, সন্দেহ!”
তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। গত মাসে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সর্বস্তরের নেতা, কর্মী ও সদস্যদের বৈঠকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, “ন্যূনতম দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিততে হবে।” ২০২১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল ২১৪টি আসনে জয় পেয়েছিল। এবার তার চেয়েও বেশি আসনে জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির রণপ্রস্তুতির মধ্যে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির জন্য চ্যালেঞ্জ আরও বেড়েছে। দিল্লির নেতৃত্বও এই চ্যালেঞ্জ অনুভব করছে। তাই জেলা সভাপতি পদে রদবদলের পাশাপাশি নতুন রাজ্য সভাপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। চলতি সপ্তাহেই নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা হতে পারে।
শুভেন্দু অধিকারী তমলুকের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘প্রাক্তন’ করার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, “লোকসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি আসনই আপনারা নরেন্দ্র মোদিজিকে উপহার দিয়েছিলেন। এবার শপথ নিন, আমরা এই জেলা থেকে ১৬টি আসনেই জিতব। রাজ্যে অন্তত ১৮০টি আসনে জয় পাব। এবার মমতাকে প্রাক্তন করব।”
২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপির ‘দুশো পার’ স্লোগান ব্যাপক আলোচিত হলেও, এবার শুভেন্দু অধিকারী সেই লক্ষ্য কমিয়ে ১৮০-এ নিয়ে এসেছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা মনে করছেন, বিজেপির এই লক্ষ্য পূরণ করা সহজ হবে না। ২০২৬ সালের নির্বাচনে রাজ্যের রাজনৈতিক মাঠ কেমন হয়, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে উভয় দলই ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।