বিজেপি বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তেজনা কোচবিহারে

কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বৃহস্পতিবার দিনহাটা মহকুমা আদালতে হাজিরা দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁর গাড়ির কাচ ভাঙা এবং ডিম ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। তবে তৃণমূল নেতারা এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার নিখিলরঞ্জন দে দিনহাটা আদালতে হাজিরা দিতে এলে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। আদালত থেকে বের হওয়ার পর তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয় এবং তাঁর গাড়ির দিকে ডিম ও ইট ছোড়া হয়। এই ঘটনায় বিধায়কের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। উত্তেজিত পরিস্থিতিতে বিজেপি সমর্থকরা দিনহাটার মড়াপোড়া মোড় অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান।

এই ঘটনায় বিজেপি পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে শুক্রবার থানায় এফআইআর দায়ের করতে পারেন বলে সূত্রে জানা গেছে। বিজেপি নেতারা বলেছেন, তৃণমূলের সমর্থকরা ইচ্ছাকৃতভাবে বিধায়ককে লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছেন।

তবে তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিরোধী দল। বাংলার নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে, যা বাংলার মানুষ মানতে পারছেন না। এই বিক্ষোভের সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সংযোগ নেই।”

এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। বিজেপি পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল সমর্থকরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের বিধায়ককে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছেন। অন্যদিকে, তৃণমূল দাবি করেছে, এই বিক্ষোভ সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্ত এবং দলীয় নেতৃত্বের কোনো হাত নেই।

দিনহাটার এই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা চলছে এবং রাজনৈতিক টানাপোড়েন আরও বাড়ছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী দিকে মোড় নেয়, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এই ঘটনা নিঃসন্দেহে রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।