OMG! ইউটিউব দেখে নিজেই নিজের অস্ত্রোপচারের চেষ্টা, অবশেষে হাসপাতালে দৌড়লেন রাজাবাবু

দীর্ঘদিন ধরে পেটে ব্যথায় ভুগছিলেন রাজা বাবু। একাধিক ডাক্তার দেখিয়েও সমস্যার সমাধান না পেয়ে শেষ পর্যন্ত নিজেই নিজের অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ইউটিউবে অস্ত্রোপচারের ভিডিও দেখে এই সাহসী (বা বিপজ্জনক) পদক্ষেপ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। অস্ত্রোপচারের পর তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে তাঁকে।
৩২ বছরের রাজা বাবু মথুরার বাসিন্দা। গত বেশ কিছুদিন ধরে তিনি তলপেটে তীব্র ব্যথায় ভুগছিলেন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, একাধিক ডাক্তার দেখিয়েও সমস্যার সমাধান না পেয়ে ইউটিউবে অস্ত্রোপচারের ভিডিও দেখে নিজেই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মথুরার বিভিন্ন দোকান থেকে অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম, সেলাই করার উপকরণ এবং অবশ করার ইঞ্জেকশন কিনে আনেন তিনি।
বুধবার সকালে বাড়িতেই নিজের অস্ত্রোপচার শুরু করেন রাজা। প্রথমে তিনি নিজেই অ্যানাস্থেশিয়ার ইঞ্জেকশন নেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই অ্যানাস্থেশিয়ার প্রভাব কেটে যায় এবং তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। চিৎকার করতে করতে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। এসময় তাঁর মুখে পুরো ঘটনা জানতে পারে পরিবার। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে দ্রুত তাঁকে কাছের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
রাজার ভাইপো সংবাদমাধ্যমকে জানান, ১৮ বছর আগে রাজার অ্যাপেন্ডিক্সের অপারেশন হয়েছিল। গত কয়েক মাস ধরে তিনি আবারও তলপেটে ব্যথায় ভুগছিলেন। ডাক্তার দেখিয়েও কোনো লাভ না হওয়ায় ইউটিউব দেখে নিজেই অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে এই সিদ্ধান্ত যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তা তিনি বুঝতে পারেননি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাজার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মথুরা থেকে আগ্রার একটি বড় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল, তবে এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ কখনই করা উচিত নয়।
এই ঘটনায় চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন যে, অস্ত্রোপচার একটি অত্যন্ত জটিল এবং বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে করা প্রয়োজন। ইউটিউব বা অনলাইন ভিডিও দেখে কখনই নিজে নিজে চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচার করার চেষ্টা করা উচিত নয়। এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।
রাজার এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এই কাজকে বোকামি বলে উল্লেখ করেছেন, আবার কেউ কেউ তাঁর সাহসিকতার প্রশংসাও করেছেন। তবে চিকিৎসকরা বারবারই সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছেন, চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।