বিশেষ: চীন-তাইওয়ান যুদ্ধ লাগলে যেভাবে বদলে যাবে বিশ্ব অর্থনীতি, জেনেনিন কী বলছে বিশেষজ্ঞরা?

বিশ্বের অর্থনীতিতে তাইওয়ানের গুরুত্ব অপরিসীম। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্রায় সকল ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির (যেমন: ফোন, ল্যাপটপ, ঘড়ি, ভিডিও গেম কনসোল) চিপের সিংহভাগ তৈরি হয় তাইওয়ানে।
তাইওয়ান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র ক্রয় করে। সম্প্রতি, হোয়াইট হাউস ঘোষণা করেছে যে চীন-তাইওয়ান যুদ্ধ লাগলে তারা তাইওয়ানকে সহায়তা করবে। ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিন সামরিক সহায়তার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তাইওয়ানে উৎপাদিত পণ্যের রপ্তানি যদি নিয়ন্ত্রিত হয়, তবে প্রযুক্তি বাজারেও এর প্রভাব পড়বে।
একটি হিসাব অনুযায়ী, তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি) বিশ্ব বাজারের অর্ধেকের বেশি কম্পিউটার চিপ তৈরি করে। যুদ্ধ শুরু হলে, এই চিপগুলোর সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
কূটনৈতিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্র ‘এক চীন’ নীতি অনুসরণ করে, যা বেইজিংয়ের চীনা সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। তাইওয়ান আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা দেবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘হ্যাঁ’ বলেছেন। তবে, হোয়াইট হাউস জানিয়েছে যে তাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এদিকে, চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংহে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, কেউ তাইওয়ানকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করলে, চীনা সেনাবাহিনী যুদ্ধ শুরু করতে দ্বিধা করবে না। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, তারা ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ চক্রান্ত নস্যাৎ করবে এবং মাতৃভূমির একীকরণকে সমর্থন করবে।
ওয়েই ফেংহে আরও বলেছেন, ‘তাইওয়ান চীনের অংশ এবং তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে আটকানো যাবে না।’ চীন তাইওয়ানকে তাদের অংশ মনে করে এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে এটি দখল করার ঘোষণা দিয়েছে।