মনের বাসনা পূরণ করতে দূরদূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা! উত্তরাখণ্ডের এই ৫ মন্দিরে যান আপনিও

উত্তরাখণ্ড একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য, যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আধ্যাত্মিক পরিবেশের জন্য পরিচিত। এই রাজ্যটি প্রাচীন মন্দিরগুলির জন্যও বিখ্যাত, যা দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল এবং কুমায়ুন অঞ্চলে প্রচুর মন্দির রয়েছে, যেখানে নবরাত্রির সময় বিশেষ ভক্তির মাধ্যমে দর্শন করতে আসেন হাজার হাজার মানুষ। এখানে আমরা জানাচ্ছি উত্তরাখণ্ডের ৫টি বিখ্যাত মন্দির সম্পর্কে, যা আপনার পরবর্তী ভ্রমণের তালিকায় রাখতেই পারেন।
১) নৈনা দেবী মন্দির, নৈনিতাল
নৈনা দেবী মন্দিরটি নৈনিতাল হ্রদের পাশে অবস্থিত। এটি মাতা সতীর ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি এবং এখানকার প্রতি মানুষের অটল বিশ্বাস রয়েছে। বলা হয়, দেবী মাতার আশীর্বাদে চোখের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এখানে সারা বছর ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে, বিশেষত নবরাত্রির সময়ে।
২) সুরকন্দা দেবী, ধনৌলতি
সুরকান্দা দেবী মন্দিরটি ধনৌলতির কাছে পাহাড়ের ওপর অবস্থিত। এটি মোটরযান চলাচলের রাস্তায় থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে। মন্দিরের অবস্থান এত উঁচুতে যে, এখানে থেকে চারপাশের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়। ভক্তরা এই মন্দিরে পৌঁছানোর পথে হিমালয় পাখি এবং ফুলের বাগান দেখতে পারেন।
৩) চন্দ্রবদনী দেবী মন্দির, তেহরি
এই মন্দিরটি রুদ্রপ্রয়াগ থেকে ২২ কিলোমিটার এবং কান্দিখাল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি দেবী সতীর দেহের অংশ হিসেবে খ্যাত শক্তিপীঠগুলির মধ্যে একটি। কথিত আছে, দেবী সতীর ধড় এখানে পড়েছিল, এবং তাই এখানে অনেক ভক্তের আগমন ঘটে।
৪) নন্দা দেবী মন্দির, আলমোড়া
আলমোড়া জেলার একটি পরিচিত মন্দির, যেখানে কুমাওনি জনগণ নন্দা দেবীকে তাদের কন্যা হিসেবে পূজা করে। এই মন্দিরটি উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন অঞ্চলের মানুষের রক্ষাকর্তা দেবী হিসেবে পূজিত। আলমোড়া শহরের সুন্দর পরিবেশ এবং পাহাড়ের দৃশ্য এই মন্দিরের ভ্রমণকে আরও স্মরণীয় করে তোলে।
৫) মনসা দেবী মন্দির, হরিদ্বার
হরিদ্বারে অবস্থিত মনসা দেবী মন্দিরটি একটি অতি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। এখানে যেতে রোপওয়ে বা ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে পৌঁছানো যায়। মন্দিরের চূড়া থেকে হরিদ্বারের এক মনোরম দৃশ্য দেখা যায়, যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
উত্তরাখণ্ডের এই মন্দিরগুলি শুধু ধর্মীয় গুরুত্বই নয়, বরং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আধ্যাত্মিক শান্তির জন্যও বিখ্যাত। পরবর্তী নবরাত্রির সময়ে এই সব মন্দিরের দর্শন করতে চলে আসতে পারেন, এবং এক সাথে উপভোগ করতে পারেন ধর্মীয় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন।